Posts Tagged ‘উপাদান’
শিব ও লিঙ্গ-৯/৮ : কাশ্মীর শৈববাদ
Posted 04/09/2018
on:
শিব ও লিঙ্গ-৯/৮ : কাশ্মীর শৈববাদ
রণদীপম বসু
…
খ্রিস্টীয় নবম শতকে উত্তর ভারতের কাশ্মীর প্রদেশে একদল শৈবাচার্যের আবির্ভাবের মাধ্যমে কাশ্মীর শৈববাদের উদ্ভব বলে মনে করা হয়। এই আচার্যদের অন্তরস্থ শিবপ্রেম দার্শনিক তত্ত্বের আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। এই আচার্যগোষ্ঠী প্রচারিত শৈবদর্শন এবং ধর্মাচরণ সম্পূর্ণভাবে উগ্রতা ও অতিমার্গিতা দোষ থেকে মুক্ত ছিল। এই মতবাদ বেদ প্রামাণ্য স্বীকার করে না, জাতিভেদও নয়। ত্রিক, স্পন্দ ও প্রত্যভিজ্ঞা– এই তিনটি আদর্শ কাশ্মীর শৈববদাকে চিহ্নিত করেছে, এবং তিনটি নামেই এই মতবাদকে বোঝানো হয়। যদিও প্রত্যভিজ্ঞাদর্শন, স্পন্দবাদ, ত্রিকশাস্ত্র, ষড়র্দ্ধশাস্ত্র, শৈবাদ্বৈতবাদ, আভাসবাদ, কাশ্মীরীয় শৈবাগম– এই কয়েকটি নামে আলোচ্য মতবাদটি প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। Read the rest of this entry »
| চার্বাক সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা-১৩ : দেহাত্মবাদ খণ্ডনের প্রয়াস |
রণদীপম বসু
…
। দেহাত্মবাদ খণ্ডনের প্রয়াস।
এ-পর্যন্ত আলোচনা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে পড়ে যে, দেহাত্মবাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য দার্শনিকেরা সবচেয়ে বড় যুক্তি হিসেবে চৈতন্যের নজির দেখাতে চেয়েছেন। আগুন, বাতাস, জল, মাটি– সবই অচেতন বা জড় বস্তু। দেহের উপাদান হিসেবে আর কিছু মানার সুযোগ নেই; অন্তত চার্বাকেরা আর কিছুই মানতে রাজি নন। কিন্তু এই জাতীয় নিছক জড় বা অচেতন বস্তু দিয়ে যা গড়া তাও তো সহজ সরল যুক্তিতে নেহাত অচেতনই হবার কথা। মানুষ তো আর তা নয়। আমাদের মধ্যে চৈতন্যর পরিচয় রয়েছে। তার ব্যাখ্যাটা কী হবে? কিংবা চৈতন্যর পর্যাপ্ত ব্যাখ্যার জন্য দেহ ছাড়াও দেহস্থ চেতন আত্মা স্বীকার না করে উপায় কী?
উত্তরে চার্বাকেরা বলতে চান, উপায় আছে। বস্তুবিশেষ প্রস্তুতের উপাদানগুলিতে স্বতন্ত্র বা মিলিত অবস্থায় কোনো গুণ বা লক্ষণের পরিচয় না থাকলেও সেগুলিরই কোনো একরকম বিশেষ পরিবর্তনের ফলে সম্পূর্ণ নতুনভাবে ওই গুণ বা লক্ষণের উদ্ভব এমন কিছু অসম্ভব ব্যাপার নয়। নজির : মদশক্তি। যেমন মদের গুণ, চৈতন্যও তেমনি দেহেরই গুণ। মদ তৈরির কোনো উপকরণে মদশক্তির পরিচয় নেই। তেমনি দেহ গঠনের কোনো উপকরণেও চৈতন্যের পরিচয় নেই। উভয় ঘটনাই সমজাতীয়। Read the rest of this entry »
|বেদান্তদর্শন-অদ্বৈতবেদান্ত-০৫ : অদ্বৈতমতে মায়া বা অবিদ্যা|
রণদীপম বসু
…
২.৩ : অদ্বৈতমতে মায়া বা অবিদ্যা
অদ্বৈত-বেদান্ত মতবাদের অন্যতম স্তম্ভ হলো মায়াবাদ। তবে মায়াবাদ একটি প্রাচীনতম ধারণা। বেদ এবং উপনিষদের মধ্যেই প্রথম মায়াবাদের ধারণা পরিলক্ষিত হয়। ঋগ্বেদে দুটি অর্থে ‘মায়া’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। ‘প্রথমত, যে শক্তি বিভিন্ন রূপ সৃষ্টি করতে পারে তা-ই মায়া। দ্বিতীয়ত, যে শক্তি সত্যকে আবৃত করে রাখে তা-ই মায়া।’- (নীলিমা মণ্ডল, ভারতীয় দর্শন পরিচয়, পৃষ্ঠা-১৮৯)। আবার শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে বলা হয়েছে যে, ঈশ্বরের মায়াশক্তি থেকেই জগতের উৎপত্তি হয়েছে। যেমন- Read the rest of this entry »
| বেদান্তদর্শন-ব্রহ্মবেদান্ত-০৮ : বাদরায়ণের দার্শনিক মত- ব্রহ্মই উপাদান কারণ |
রণদীপম বসু
…
২.২ : বাদরায়ণের দার্শনিক মত
.
বায়রায়ণ প্রকৃতপক্ষে উপনিষদের বিভিন্ন শ্রুতিকেই অবিসম্বাদিত সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে উপনিষদের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন এবং উপনিষদের বিভিন্ন ঋষির মতভেদকে দূর করে সর্বসমন্বয় করতে চেয়েছেন। কিন্তু উপনিষদে যেহেতু মতভেদের যথেষ্ট বীজ ছিলো, যার ফলে অনুগামীরা গুরুর সর্বসমন্বয় নীতিকে খণ্ডন করতে উদ্যোগী হওয়ায় বেদান্তের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু শক্তিশালী মতভেদেরও সৃষ্টি হয়েছিলো। তবু বাদরায়ণের সর্বসমন্বয় তত্ত্বের মধ্যেও তাঁর কিছু সুস্পষ্ট মতামত সিদ্ধান্ত আকারে পরিদৃষ্ট হয়, যাকে বাদরায়ণের ব্রহ্মবাদ বলা যায়। Read the rest of this entry »
- In: বৌদ্ধদর্শন
- 4 Comments
-রণদীপম বসু
…
(…আগের পর্বের পর)
…
৩.০ : বৌদ্ধমতের দার্শনিক সিদ্ধান্ত (Buddhism and Its Philosophy)
“অনিত্য, দুঃখ, অনাত্ম” (অঙ্গুত্তরনিকায়: ৩/১/৩৪)- এই একটিমাত্র সূত্রেই বুদ্ধের সমস্ত দর্শন গ্রথিত আছে বলে পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়নের অভিমত। এই সূত্রের মূল বক্তব্য হচ্ছে-
‘সর্বং অনিচ্চং, সর্বং দুক্খং, সর্বং অনাত্মং।’ (অঙ্গুত্তরনিকায়-৩/১/৩৪)
অর্থাৎ : যা কিছু সমস্তই অনিত্য, সমস্তই দুঃখ, সমস্তই অনাত্ম।
তার উপর ভিত্তি করেই বর্তমানে তাঁর সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী ধর্মমতের মধ্যে দার্শনিক প্রপঞ্চের যে সন্ধান আমরা পাই তা মূলত বুদ্ধের অনুসারী পরবর্তীকালের মেধাবী দার্শনিকদেরই অবদান। তাঁদের মাধ্যমেই বৌদ্ধদর্শন প্রকৃতপক্ষে দর্শনের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত।
Read the rest of this entry »
গৌতম বুদ্ধ কোন চরমপন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন না। সর্বাবস্থায় তিনি মধ্যপন্থা অবলম্বনকেই সঠিক মনে করতেন। বোধিপ্রাপ্তির লক্ষ্যে কঠোর তপস্যাকালীন সময়েই এ জ্ঞান তিনি প্রাপ্ত হন এবং মধ্যম মার্গ অনুসরণ করেই বোধিলাভ করেন। তাই বোধিলাভের পরপরই সর্বপ্রথম তিনি ঋষিপত্তন মৃগদাবে (সারনাথ, বেনারস) সেই পাঁচজন ভিক্ষুর অন্বেষণে গিয়েছিলেন তাঁদের শঙ্কা দূর করার লক্ষ্যে, যাঁরা তপস্যাকালীন সময়ে অনশন ভঙ্গকারী গৌতমকে ছেড়ে মনঃক্ষুণ্ন হয়ে চলে গিয়েছিলেন। Read the rest of this entry »
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ