Archive for the ‘হারানো দিনলিপি’ Category
|একজন রমা কিংবা আমাদের গন্তব্যে ফেরা…|
Posted 27/11/2015
on:|একজন রমা কিংবা আমাদের গন্তব্যে ফেরা…|
রণদীপম বসু
১.
স্বাধীনতা-উত্তর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ। নিস্তরঙ্গ সুনামগঞ্জ তখন একান্তই ছোট্ট একটা মহকুমা শহর হলেও মুক্তিযুদ্ধকালীন শহর ছেড়ে ভারতের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে শরণার্থী হওয়া পরিবারগুলো অনেক ক্ষয়ক্ষতির বিনিময়ে ফিরতে শুরু করেছে। সেই দলে আমাদের পরিবারও ছিলো। তার কিছুদিন পর উনিশশ’ বাহাত্তর সালে অটোপ্রমোশন পেয়ে ক্লাশ ফোরে উঠে গেছি আমি। বাসা থেকে কালিবাড়ি প্রাইমারি স্কুল, আসা-যাওয়ার রাস্তা আর তার দু’পাশের পরিপার্শ্বিকতাই তখন আমার শৈশবোত্তীর্ণ কৈশোরের উন্মেষকালে বেড়ে ওঠার নিজস্ব গণ্ডি। বাসার ঠিক সামনেই প্রধান সড়কটার অপরপার্শ্বে কচুরিপানায় ভর্তি বিরাট পুকুরটার, যেটি ভরাট হয়ে এখন পৌর বিপণীবিতানে রূপ নিয়েছে, তার পাড় ঘেষে আমার বিপণ্ন কৈশোরের প্রথম বিস্ময় নিয়ে গড়ে উঠলো শহীদ মিনারটা। জীবন-প্রভাতে এ এক নতুন অভিজ্ঞতা বৈকি। মিনারের বেদীর পেছনের দেয়ালস্তম্ভটার পুরো গা জুড়ে লাল-সবুজে মাখানো বিশাল পতাকার রঙ। ওটার দিকে একদৃষ্টে তাকাতে পারতাম না কখনোই। মাতৃহারা বুকটা খাঁ খাঁ করে ওঠতো, চোখ ভিজে যেতো নিমেষে। ওই উজ্জ্বল রঙের সাথে আমার মায়ের চেহারাটা কেন যেন একাকার হয়ে মিশে যেতো। যুদ্ধকালীন সময়ে তিনভাই একবোন আর মা সহ পাঁচ পাঁচজন সদস্য হারিয়ে টিকে থাকা পিতাপুত্রের চারজনের নারীবিহীন পরিবারটা যে কতোটা বিপর্যস্ত ছিলো সেটা বুঝে ওঠা বা বর্ণনা করার প্রয়োজনীয় বোধবুদ্ধি গড়ে ওঠেনি হয়তো। বালক বয়সের এক দুর্বোধ্য শূন্যতার মধ্যে যন্ত্রচালিতের মতো কখন কী করতাম জানি না। জীবন আর মৃত্যুর মধ্যে বোধকরি খুব একটা ফারাক ছিলো না তখন আমার। Read the rest of this entry »
- In: ঝাপসা চোখে
- 3 Comments
…
০৫ ফেব্রুয়ারি যথারীতি অফিসে গিয়েছি সকাল ১০টায়। তারপর থেকেই একটা রোমাঞ্চকর অস্থিরতায় অপেক্ষা করছিলাম, কখন মানবতাবিরোধী কুলাঙ্গার অপরাধী কাদের মোল্লার বিচারের রায় ঘোষণা শুরু হবে ! কাজের ফাঁকে মোবাইলে অনলাইন আপডেট খুঁজছিলাম থেকে থেকে। পৌনে এগারটায় শুরু হলো দীর্ঘ বয়ানের রায়। রহস্যময় বিতর্কিত চরিত্রের সহকর্মীদের মুখ প্রয়োজনাতিরিক্ত নিরব ও থমথমে। ভেতরে ভেতরে আমার প্রস্তুতি কিভাবে এতোদিনের পুষে রাখা বিজয়ানন্দটা যথাযথভাবে প্রকাশ করবো। ফাঁসির রায় শুনবো খুব নিশ্চিত হয়ে আছি।
. Read the rest of this entry »
| যে ডায়েরীটা…| ৩৮ |
Posted 02/11/2011
on:| যে ডায়েরীটা লেখা হবে না আর…| ৩৮ |
তারিখ: নেই (১৯৯৩)
…
রূপা, এমোন যে খবরহীন হয়ে গেলে হঠাৎ ! তুমি কারো কথা না ভাবতে পারো, কিন্তু কেউ তো তোমার কথা ভাবে সারাক্ষণ, এটা কি বুঝতে পাও ? অবশ্য যদি তোমার ভালোবাসার উদার আকাশে কোন দীপ্ত নক্ষত্রের খোঁজ পেয়ে থাকো, সেটা ভিন্ন কথা। আমি তো নিভু নিভু মাটির প্রদীপ মাত্র ! টিমটিমে নিজকেই প্রকাশ করতে, আলোকিত করতে পারি না, সেখানে নক্ষত্রের সাথে পাল্লা দেবো কোন্ সাহসে ! যে নক্ষত্রের উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত, প্রদীপের আলো তো সেখানে পরিহাস মাত্র ! শুধু পুড়ে যাওয়াই সার ! Read the rest of this entry »
| যে ডায়েরীটা…| ৩৭ |
Posted 02/11/2011
on:| যে ডায়েরীটা লেখা হবে না আর…| ৩৭ |
তারিখ: নেই (১৯৯৩)
…
‘তুমি কি সেই আগের মতোই আছো,
নাকি অনেকখানি বদলে গেছো- খুব জানতে ইচ্ছে করে।…’
| আলগা প্যাঁচাল-০৬ | এইটা ঠিক না !
Posted 21/10/2011
on:| আলগা প্যাঁচাল-০৬ | এইটা ঠিক না !
-রণদীপম বসু
…
আশেপাশে সিটি কর্পোরেশানের টানানো বৈদ্যুতিক লাইন থাকায় বাড়ন্ত ডালপালা ছেটে ঠুটু বানিয়ে রাখা হলেও তরুণ বটগাছটার গোড়ায় চারদিক ঘিরে বাঁধানো গোল বেদীটা চওড়া ফুটপাথের মধ্যে চমৎকার একটা আবহ তৈরি করে রেখেছে। হাঁটুরে পথিকদের জন্য বা অপেক্ষমান ড্রাইভার-রিক্সাচালকদের জন্য এই বেদীটার মতো এমন আরামের ছায়াময় বিশ্রামস্থল আশেপাশে আর না থাকায় মিরপুর জিপিও গেটের এই কোণাটা অফিস কর্মদিবসে সারাক্ষণই সরগরম থাকে এবং একে ঘিরে কিছু খুচরা ভ্রাম্যমান টং-দোকানও বেশ জমে ওঠে। খুব নিকটবর্তী দূরত্বে গ্রামীণ ব্যাংক, হার্ট ফাউন্ডেশন, ওএসবি চক্ষু হাসপাতাল, কিডনি ফাউন্ডেশন, মিরপুর কলেজ, ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয়, সর্বোপরি মিরপুর জেনারেল পোস্ট অফিস ইত্যাদি বহুল পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থিতির সুবাদে এখানে শিক্ষিত সচেতন লোকদের আনাগোনা এমনিতেই বেশি থাকে। ফলে অফিস আওয়ারে এই বটের বেদীটাতে বসার জায়গা পাওয়াই ভার। কিন্তু আজকের প্যাঁচাল অন্য বিষয়ে। Read the rest of this entry »
| আলগা প্যাঁচাল-০৫ | রবিবারে আসেন… |
Posted 21/10/2011
on:| আলগা প্যাঁচাল-০৫ | রবিবারে আসেন… |
-রণদীপম বসু
…
অন্তর্জালিক উন্মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার সংরক্ষণে নাকি আমাদের দেশের সরকারি দপ্তর-অধিদপ্তরের পরিচয়বাহী ভবনগুলোর প্রয়োজনীয় ও ব্যবহারযোগ্য ছবি খুব একটা নেই। শিক্ষিত সচেতন জনগোষ্ঠির জন্য এরকম তথ্য নিঃসন্দেহে হতাশাব্যঞ্জক। এই ঘাটতি পূরণের আইডিয়া হিসেবে সবাইকে এ ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী উইকিপিডিয়ান মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন একটা ফটোওয়াক করে ফেলবেন। এটার নাম হবে ‘উইকি ফটো ওয়াক’। যেই কথা সেই কাজ। কিন্তু একটা গ্রুপের দ্বারা তো আর গোটা ঢাকা নগরী দ্রুত কাভার করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে এলাকা, অবস্থান, যোগাযোগ, পথ-ঘাট ইত্যাদি চেনা-জানা বা অবগত না থাকলে দেখা যাবে কাজের চেয়ে অকাজের হাঁটাটাই সার হবে। তাই সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে যে অঞ্চলে যে বসবাস করছে সেরকম পাশাপাশি কয়েকজন মিলে একেকটা এলাকা কাভার করাটাই অধিক ফলপ্রসূ হতে পারে। Read the rest of this entry »
| আলগা প্যাঁচাল-০৪ | চিত্তবাবু জানেন…|
Posted 18/10/2011
on:- In: পথের ধূলো
- 3 Comments
| আলগা প্যাঁচাল-০৪ | চিত্তবাবু জানেন…|
-রণদীপম বসু
…
ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে জগন্নাথ হলে এলাম বাদাইম্যা স্বভাবের তাড়নায়। শারদীয় উৎসবের আগের সপ্তার ঘটনা। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছিলাম যে শিববাড়ি নামে পরিচিত হেরিটেজ মর্যাদার পুরনো স্থাপনাটা এখানে কোথাও ঘাপটি মেরে আছে ! কিন্তু সূত্রটা যে আসলে ততটা বিশ্বস্ত নয়, অচিরেই বুঝা গেলো এদিকওদিক উঁকিঝুকি মেরে কোথাও না পেয়ে একজন ছাত্রকে জিজ্ঞেস করতেই। ছাত্রটি তর্জনি নির্দেশে শিববাড়ির অবস্থান যেদিকে দেখালো সেদিকে বেরোনোর গেট ছাড়া আর কিছুই দেখলাম না ! তর্জনি আকিয়ে বাঁকিয়ে সে বললো এদিকে গিয়ে ওদিকে যেয়ে সেদিকে যাবেন। কি আর করা ! তথৈবচঃ ! Read the rest of this entry »
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ