Archive for the ‘বাঙালির লৌকিক ভাবদর্শন’ Category
- In: তন্ত্র-সাধনা | বই-পত্র | শক্তি থেকে ভক্তি
- 1 Comment
গ্রন্থ : বাঙালির লৌকিক ভাবদর্শন-২ : তন্ত্র ও গুহ্যসাধনা
(কভার-ফ্ল্যাপের বয়ান)
…
বাঙালি একটি ভাষাভিত্তিক ও গোষ্ঠীভিত্তিক জাতি। জাতির বহমান সংস্কৃতি থাকে। বাঙালির ক্ষেত্রে এ ধারাটি অনেক সমৃদ্ধ। কোনো নির্দিষ্ট ভূখ- একটি রাষ্ট্রের অবিভাজ্য উপাদান হতে পারে, কিন্তু সঙ্গত কারণেই তা জাতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না। ধর্ম কোন জাতির জাতিসত্তা নির্ধারণের মৌল উপাদান নয়। কেননা, ধর্ম সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান হতে পারে, কিন্তু জাতিসত্তার নয়। তবে একটি জাতির সাংস্কৃতিক আচার, চিন্তার কাঠামো বা লৌকিক ভাবজগত তৈরির ক্ষেত্রে তার সংস্কৃতির অন্তর্গত বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনা ও উপাচারগুলোর প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজ গ্রন্থে বাঙালির লৌকিক ভাবজগত গঠনের বিভিন্ন উপাদান খোঁজার পাশাপাশি তার সাধন-বৈশিষ্ট্যেরও সন্ধান করা হয়েছে।
‘বাঙালির লৌকিক ভাবদর্শন’ সিরিজ গ্রন্থের বর্তমান খণ্ডের বিষয়বস্তু তন্ত্র ও গুহ্যসাধনা এবং তার প্রভাব ও বিস্তার সম্পর্কিত। ক্রিয়ামূলক শক্তি-সাধনা হিসেবে তন্ত্র সম্পূর্ণ একটি সাধনশাস্ত্র, যা বাঙালির প্রায় সকল ধর্মসাধনা ও লোকাচারে গভীরভাবে মিশে আছে। তান্ত্রিক ক্রিয়াকাণ্ডের ফল প্রত্যক্ষসিদ্ধ বলে বিশ্বাস করে বলা হয়–চিকিৎসাশাস্ত্র, জ্যোতিষ এবং তন্ত্রের বচন প্রতি পদে প্রত্যক্ষ সত্য। আমাদের সাধারণ লৌকিক জনগোষ্ঠীতেও এই বিশ্বাস কতোটা প্রবল তার নমুনাও অগোচর নয়। ঝাড়-ফুক, তাগা-তাবিজ, বান-বদ্যি, জ্যোতিষ-বিচারের সাথে প্রাত্যহিক জীবন-যাপনের অংশ হয়ে থাকা এই বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রবল বিশ্বাস-নির্ভরতা থেকেই তা প্রত্যক্ষ করা যায়। এখানে যতটা না ধর্ম, তার চেয়ে অধিক সত্য হলো লোকায়ত সাংস্কৃতির প্রবহমানতা। এ গ্রন্থের বিস্তৃত পরিসরে তারই উৎস ও পরম্পরা খোঁজার পাশাপাশি তন্ত্রশাস্ত্রের একটি আকর্ষণীয় রূপরেখা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আগ্রহী পাঠক পরিশ্রমলব্ধ এ গ্রন্থটির যথাযথ গুরুত্ব উপলব্ধি করবেন বলে আমরা আশা করি।
গ্রন্থতথ্য
…
গ্রন্থের নাম : বাঙালির লৌকিক ভাবদর্শন-২ : তন্ত্র ও গুহ্যসাধনা
লেখক : রণদীপম বসু
প্রকাশ : রোদেলা সংস্করণ ফেব্রুয়ারি-২০২৪
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৬৪০
মুদ্রিত মূল্য : ৮০০/- টাকা
প্রকাশক : রিয়াজ খান (ফোন: +৮৮ ০১৭১১৭৮৯১২৫)
রুমি মার্কেট (২য় তলা) ৬৮-৬৯, প্যারিদাস রোড (বাংলাবাজার)
ঢাকা-১১০০।
প্রচছদ : মোবারক হোসেন লিটন
ISBN : 978 984 98235 6 8
গ্রন্থ : বাঙালির লৌকিক ভাবদর্শন-১ : মাতৃকাশক্তি ও জাদুবিশ্বাস
(কভার-ফ্ল্যাপের বয়ান)
বাঙালি একটি ভাষাভিত্তিক ও গোষ্ঠীভিত্তিক জাতি। জাতির বহমান সংস্কৃতি থাকে। বাঙালির ক্ষেত্রে এ ধারাটি অনেক সমৃদ্ধ। কোনো নির্দিষ্ট ভূখণ্ড একটি রাষ্ট্রের অবিভাজ্য উপাদান হতে পারে, কিন্তু সঙ্গত কারণেই তা জাতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না। আর ধর্ম কোন জাতির জাতিসত্তা নির্ধারণের মৌল উপাদান নয়। কেননা, ধর্ম সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান হতে পারে, কিন্তু জাতিসত্তার নয়। তবে একটি জাতির সাংস্কৃতিক আচার, চিন্তার কাঠামো বা লৌকিক ভাবজগত তৈরির ক্ষেত্রে তার সংস্কৃতির অন্তর্গত বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনা ও উপাচারগুলোর প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজ গ্রন্থে বাঙালির লৌকিক ভাবদর্শন গঠনের বিভিন্ন উপাদানগুলো খোঁজার পাশাপাশি বাঙালি জাতির প্রাগৈতিহাসিক পটভূমিরও সন্ধান করা হয়েছে।
‘বাঙালির লৌকিক ভাবদর্শন’ সিরিজ গ্রন্থের বর্তমান খণ্ডের বিষয়বস্তু মাতৃকাশক্তি ও প্রজননমূলক জাদুবিশ্বাসের প্রভাব ও তার বিস্তার সম্পর্কিত, যাকে পণ্ডিতজনেরা ভিন্ন নামে শক্তি-সাধনা হিসেবেও চিহ্নিত করে থাকেন। আক্ষরিক অর্থে আসলে শক্তিপূজা বলে কিছু নেই। বস্তুত শক্তির উৎস হিসেবে কিছু প্রতীকের উপস্থাপন এবং সেই প্রতীককে বা প্রতীকের মাধ্যমে পূজার প্রচলনই হয়তো শক্তিপূজার প্রাচীনতম নিদর্শন। কোনো পাথর, পশুপক্ষী, গাছপালা বা বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্নকে মাধ্যম করে উপাসনা, মানত ইত্যাদি বাঙালির লৌকিক জীবনে প্রচলিত অতি সাধারণ উপাচার হিসেবে বাঙালির ভাবজগতকে এখনও পরিব্যাপ্ত করে আছে। এখানে যতটা না ধর্ম, তার চেয়ে অধিক সত্য হলো লোকায়ত সাংস্কৃতির প্রবহমানতা। এ গ্রন্থে বিস্তৃত পরিসরে তারই উৎস ও পরম্পরা খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। আগ্রহী পাঠক গ্রন্থটির যথাযথ গুরুত্ব উপলব্ধি করবেন বলে আমরা আশা করি।
গ্রন্থতথ্য
গ্রন্থের নাম : বাঙালির লৌকিক ভাবদর্শন-১ : মাতৃকাশক্তি ও জাদুবিশ্বাস
লেখক : রণদীপম বসু
প্রকাশ : রোদেলা সংস্করণ ফেব্রুয়ারি-২০২৩
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪৪৮
মুদ্রিত মূল্য : ৬০০/- টাকা
প্রকাশক : রিয়াজ খান (ফোন: +৮৮ ০১৭১১৭৮৯১২৫)
রুমি মার্কেট (২য় তলা) ৬৮-৬৯, প্যারিদাস রোড (বাংলাবাজার)
ঢাকা-১১০০।
প্রচছদ : মোবারক হোসেন লিটন
ISBN : 978 984 96506 9 0
শক্তি-সাধনা-১২ : শক্তিদেবী কালী ও তাঁর পূজার ইতিহাস
রণদীপম বসু
…
বাঙলা ও ভারতে শক্তিসাধনা মূল দুইভাগে বিভক্ত– প্রথমটা হলো দুর্গা-কেন্দ্রিক, আর দ্বিতীয়টা কালী-কেন্দ্রিক। পার্বতী উমা, সতী এবং দুর্গা-চণ্ডিকার ধারা মিলে পুরাণ-তন্ত্রাদিতে যে দুর্গাকেন্দ্রিক এক মহাদেবীর বিবর্তন দেখতে পাই, তার সাথে এসে মিলেছে কালী, করালী, চামুণ্ডা, তারা ও অন্যান্য দশমহাবিদ্যাকে নিয়ে আরেকটি ধারা, তা হলো দেবী কালিকা বা কালীর ধারা। এই কালী বা কালিকাই বাঙলা অঞ্চলের শক্তিসাধনার ক্ষেত্রে দেবীর অন্য সব রূপ পেছনে ফেলে শেষ পর্যন্ত সর্বেশ্বরী হয়ে উঠেছেন। তাই বাঙলার শক্তি-সাধনা ও শাক্ত-সাহিত্যকে বুঝতে হলে এই কালী বা কালিকার ধারাটির প্রাচীন ইতিহাস একটু অনুসন্ধান করা প্রয়োজন বলে মনে হয়। Read the rest of this entry »
শক্তি-সাধনা-১০ । পার্বতী উমা : মানবরূপী দেবী না কি দেবীরূপী মানবী?
রণদীপম বসু
…
দেবী আদ্যাশক্তি মহামায়া সম্পর্কে পুরাণে দুই শ্রেণির কাহিনী প্রচলিত। এক শ্রেণির কাহিনীতে দেবী দেব-তেজঃসম্ভূতা– জ্যোতির্ময়ী তেজোরূপা– অসুরঘাতিনী। এক্ষেত্রে তিনি বৈদিক দিব্য সরস্বতীর সগোত্রা। আর অন্য শ্রেণির কাহিনীতে দেবী দক্ষতনয়া, জন্মান্তরে হিমালয়-নন্দিনী উমা-পার্বতী। উভয় জন্মেই তিনি শিবশক্তি শিব-জায়া। উমা-পার্বতী গজানন-কার্তিকেয়ের জননী। ইনি দৈত্যনাশিনী নন। আর দেবতেজঃসম্ভূতা যে মহাশক্তি চণ্ডী, তিনিই বিষ্ণুমায়া– বিষ্ণুর যোগনিদ্রা– শিবজায়া বা হিমালয় কন্যা নন। ইনি সকল দেবতার শক্তিরূপা– সুতরাং প্রকৃতই মহাশক্তি। পরে ক্রমে ক্রমে দেবীর এই দুই রূপ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। দুর্গা-পার্বতী-চণ্ডী মিলেমিশে একই দেবসত্তায়, একই মহাশক্তি শিবশক্তি শিবানীতে পরিণত হয়েছেন। দেবী-কল্পনার বিবর্তন বা ক্রমবিকাশের ধারায় পার্বতী উমার ধারাটির উৎস খুঁজে দেখা যেতে পারে। Read the rest of this entry »
শক্তি-সাধনা-০২ : আদিম মানব ও তার ধর্ম…
Posted 15/11/2019
on:শক্তি-সাধনা-০২ : আদিম মানব ও তার ধর্ম
রণদীপম বসু
…
নৃতাত্ত্বিকেরা হাতিয়ারের ক্রমবিকাশের ধারা অনুশীলন করে মানবসভ্যতার বিকাশের ঐতিহাসিক যুগের যে ধারা চিহ্নিত করেছেন তা হলো যথাক্রমে– প্রস্তর যুগ, তাম্র যুগ, ব্রোঞ্জ যুগ এবং লৌহ যুগ। কেননা এই হাতিয়ারের ক্রমবিকাশের ধারা অনুশীলন করলেই ব্যবহারকারীদের ক্রমবিবর্তন অনুশীলন করা যায়। আর প্রগৈতিহাসিক প্রত্ন-প্রাচীন প্রস্তর যুগকে আবার উপবিভাগে ভাগ করা হলো– প্রত্নপ্রস্তর বা আদি-প্রস্তর যুগ, মধ্য-প্রস্তর যুগ ও নব বা নব্য-প্রস্তর যুগ। কিন্তু হাতিয়ার তৈরি ছাড়াও শিকারের প্রয়োজনে মানুষ জোট বাঁধতে বাধ্য হলো। ফলে, ভাবের আদান-প্রদানের প্রয়োজনীয়তা থেকে শুরু হলো ভাষার ব্যবহার। জোটবদ্ধ জীবনে প্রথমে জৈবিক প্রয়োজনে, তারপর ধীরে ধীরে দেখা দিলো পরিবারের প্রয়োজনীয়তা। প্রকৃতির সাথে নিয়ত সংগ্রামশীল মানুষ পর্যায়ক্রমে শিখলো কাঁচা ও পোড়া মাটির ব্যবহার। তারপর একে একে আয়ত্ত করলো তামা, ব্রোঞ্জ ও সবশেষে লোহার ব্যবহার। ‘এরমধ্যে যেসব জিনিস বিনষ্ট হওয়ার তা কালের প্রভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো। আর যা নষ্ট হওয়ার নয় তা চাপা পড়ে রইলো– মাটির তলায় বা পৃথিবীর পাঠশালায়, কালের লিখন হয়ে।’ Read the rest of this entry »
শিব ও লিঙ্গ-১১ : বাংলার লোকায়তিক শিব ও লৌকিক শৈবধর্ম
রণদীপম বসু
…
প্রাচীন ভারতীয় যেসব প্রাক্-বৈদিক দেবতা পরবর্তী হিন্দু সমাজেও নিজেদের প্রতিষ্ঠা স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে বলা যায় শিবই সর্বপ্রধান। এতে স্বভাবতই অনুমিত হয় যে, এ দেশের প্রাক্-বৈদিক সমাজে তৎকালীন শৈবধর্মের ব্যাপক প্রভাব ছিল। হরপ্পা-মহেঞ্জোদারোর আবিষ্কার থেকেও এ বিষয় সমর্থিত হয়। সেজন্যেই মনে করা হয়,–
‘বর্তমানে ভারতের যে অঞ্চলে আর্যেতর জাতির লোক অধিক সংখ্যায় বসবাস করে, সেই অঞ্চলেই শৈবধর্মের ও যে অঞ্চলে আর্যভাষী জাতির বংশধরগণ অধিক পরিমাণে বাস করে, সেই অঞ্চলেই বৈষ্ণব ধর্মেরই প্রাধান্য দেখিতে পাওয়া যায়। ব্রাহ্মণ্য ধর্ম বাংলাদেশ হইতে বহু দূরবর্তী অঞ্চলে উদ্ভুত হইয়াছিল, কালক্রমে তাহা বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হইবার পূর্বেই ইহাকে প্রাগার্য (Pre-Aryan) শৈবধর্মের সংস্পর্শে আসিতে হইয়াছিল। অতএব বাংলাদেশে প্রথম হইতেই যে শিবধর্মের প্রচার হইয়াছিল, তাহার সঙ্গে আর্যেতর সমাজের উপাদান পূর্ব হইতেই মিশ্রিত ছিল। শুধু তাহাই নহে, অনার্য দেবতা শিব ইতিপূর্বেই আর্য সমাজে একটি বিশিষ্ট স্থান লাভ করিয়া স্বকীয় মহিমায় স্বয়ম্প্রতিষ্ঠ হইয়াছিলেন।’– (শ্রী আশুতোষ ভট্টাচার্য, বাংলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস, পৃষ্ঠা-১৪২) Read the rest of this entry »
শিব ও লিঙ্গ-১০ : শৈব তন্ত্র, শিব ও শক্তি
রণদীপম বসু
…
ভারতীয় তথা এতদঞ্চলের সকল ধর্ম ব্যবস্থাই কোন-না-কোনভাবে তান্ত্রিক অন্তঃস্রোতের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, এ বিষয়ে খুব একটা দ্বিমত নেই কারো। আর শৈবধর্মের ক্ষেত্রে এই প্রভাব সবচেয়ে বেশি বলে প্রতীয়মান হয়। শাক্ততান্ত্রিক ধারণাসমূহ, স্বতন্ত্র ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার আগে, শৈবধর্মকেই আশ্রয় করে বেড়ে উঠেছিল। সাংখ্যোক্ত ও তন্ত্রোক্ত পুরুষ-প্রকৃতির ধারণাই শিব ও শক্তির ধারণার উৎস। একটি অন্যনিরপেক্ষ নয়। শৈব ও শাক্তধর্মের মূল তত্ত্বগুলি একই, পার্থক্য হচ্ছে প্রথমটি অর্থাৎ শৈবধর্মের ক্ষেত্রে পুরুষ-প্রাধান্য, দ্বিতীয়টি অর্থাৎ শাক্তধর্মের ক্ষেত্রে প্রকৃতি-প্রাধান্য। আর তান্ত্রিক আচার-অনুষ্ঠানগুলি সমভাবেই শৈব ও শাক্ত ধর্মে বর্তমান। তন্ত্র বিষয়ক গ্রন্থান্তরে এসবের বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে। Read the rest of this entry »
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ