Archive for the ‘আহা জীবন’ Category
| সুজন মাঝি, সাঁতার জানে না !
Posted 24/06/2011
on:- In: আহা জীবন
- 2 Comments
। সুজন মাঝি, সাঁতার জানে না !
| দুই-মেগাপিক্সেল | ক্ষুধা ও শিল্প…|
Posted 08/04/2010
on:- In: আহা জীবন
- মন্তব্য করুন
| দুই-মেগাপিক্সেল | ক্ষুধা ও শিল্প…|
-রণদীপম বসু
…
ছবিতে যে শিল্পকর্ম দেখা যাচ্ছে, এটা কোন পথ-শিল্প নয়। বা কোনো দিবস উদযাপনও নয়। ছন্নছাড়া মনের খেয়ালে কোন্ সুদূর মফস্বল থেকে রাজধানী শহরে চলে আসা এক ক্ষুধার্ত অসহায় শিল্পীর কষ্টের ক্ষরণ। ব্যক্তি ভিক্ষা চাইতে পারে, কিন্তু শিল্পীর হাত কি কখনো ভিক্ষুক হয় ? তবু ক্ষুধার কাছে ব্যক্তি আর শিল্পীসত্তা যখন একাকার হয়ে যায়, শিল্প বুঝি থমকেই যায়। আহা ক্ষুধা ! Read the rest of this entry »
[আহা জীবন..]..’ইঁদুর’
Posted 26/08/2009
on:- In: আহা জীবন
- মন্তব্য করুন
[আহা জীবন..]..’ইঁদুর’
রণদীপম বসু
.
ইঁদুরের বংশ
করে দিন ধ্বংস…!
.
.
যে অদৃশ্য ইঁদুরের দৌরাত্ম্যে ভোগে লোকটি পথে নেমেছে, ইঁদুর নামের কিছু দৃশ্যমান ও ক্ষতিকর প্রাণী ধ্বংস করে অন্যের দিন-যাপনকে আরেকটু নিরুপদ্রব করে দেয়ার জন্য, এসব দৃশ্যমান ইঁদুর হয়তো ধ্বংস হবে ঠিকই।
কিন্তু সেই অদৃশ্য ইঁদুরের দৌরাত্ম্য কি থামবে তাতে…?
[আহা জীবন..]..’টোকানি’
Posted 26/08/2009
on:- In: আহা জীবন
- মন্তব্য করুন
[আহা জীবন..]..’টোকানি’
রণদীপম বসু
.
সিগারেটের খালি প্যাকেট, ছেঁড়া কাগজ, ফেলে দেয়া জুসের ক্যান, প্লাস্টিকের বোতল, পরিত্যক্ত জুতা, ভাঙা টিন কিংবা জং ধরা লোহার খণ্ড, সামনে যা কিছু পড়েছে ইত্যাদি সবই হয়তো খুটে খুটে তুলে নিয়ে কাঁধে ঝুলানো প্লাস্টিকের বস্তাটায় ঢুকিয়ে নিয়েছে। দিনমান ঘুরে ঘুরে ভরে ওঠা বস্তাটা নিয়ে চলে এসেছে সিটি কর্পোরেশানের ময়লা জমানোর ডাস্টবিনটার পাশে। এসেই ঢেলে দিলো রাস্তাতেই। আর কোথাও ঢালার তো উপায় নেই। তেড়ে আসবে ভদ্রলোকেরা। তাই ডাস্টবিনের পাশটাই নিরাপদ হয়তো। পরপরই চলে এলো মহিলাটিও, আরেকটি বস্তা কাঁধে করে, হতে পারে লোকটির জীবনসঙ্গিনীই হবে। হয়তো বা নির্ধারিত স্পটই এটা তাদের। ছেলেটিও চলে এলো একইভাবে। বোঝা যাচ্ছে এক পরিবারই হবে এরা।
যা কিছু মুখে গুঁজে বস্তি থেকে একসাথে বেরিয়েছিলো টোকানির কাজে। যার যা সঞ্চয় সব এনে একত্রে ঢেলে এবার বাছাইয়ের পালা। একদিকে কাগজের ভাগ, প্লাস্টিক অন্যদিকে, আরেকদিকে ভাঙারিগুলো এভাবে। পৃথিবীতে কিছুই ফেলনা নয়। কারো কাছে যা বজ্য, অন্যের কাছে তাই দরকারি খুব। জীবনটাই বুঝি এই রিসাইক্লিং-এ চলছে। সবকিছু ক্যাটেগরি অনুযায়ী পৃথক ভাগে এবার হয়তো চলে যাবে সংশ্লিষ্ট আরতে বিক্রির জন্যে। কিছু হয়তো নিজেদেরই ব্যবহারে। অতঃপর যেক’টা মলিন টাকা উঠে আসবে হাতে, কড়কড়ে গন্ধ ছড়াবে কিনা জানিনা। তবে দিনশেষে দু’মুঠো চাল, এক চিমটি ডাল আর এক ভাগা গলে যাওয়া মাছের গুড়ো বা দু’টুকরো আলু হলে একটা দিনের সমাপ্তি ওদের জন্য বালা-মুসিবত ছাড়া ভালোয় ভালোয়ই কেটে গেলো।
কোন এক পূর্বজন্মের অজান্তে দেখে ফেলা দুর্ভাগা স্বপ্নের মতোই এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়াটাই হয়তো ভুলে গেছে ওরা !
আহা, মানুষের স্বপ্ন দেখার ক্ষমতাও কত বেশি সীমিত এখন…!
.
[somewherein]
[আহা জীবন..]..’চর্মকার’
Posted 26/08/2009
on:- In: আহা জীবন
- মন্তব্য করুন
[আহা জীবন..]..’চর্মকার’
রণদীপম বসু
.
অফিসে আসতে যেতে রোজই দেখি। প্রয়োজন হলে কাছে যাই, বসে পড়ি নির্দ্বিধায় পাশের বাক্সটির উপর। পায়ের জুতো জোড়া খুলে কালি করতে দেই কিংবা কোথাও ফেটে গেলে ছিঁড়ে গেলে নতুন করে সেলাই করিয়ে নিয়ে চকচকে জুতো পায়ে ফের ফিরে যাই নিজ নিজ গন্তব্যে।
নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আর প্রকৃতি দিয়ে কেউ ডাকি মুচি, কেউ বলি চামার বা আরেকটু শালীনভাবে চর্মকার। এতেও আমাদের জিহ্বায় যাদের জড়তা একটু বেশি তারা বলি বিদেশি উচ্চারণে সু-মেকার। সবসময় হাসি-খুশি বিনয়ী এতো চমৎকার আচার-ব্যবহার লোকটির, সমান্তলার অবস্থানে আশেপাশের অনেকের চেয়ে কোনোভাবেই খাটো নয় তবু কেউ কি আমরা নিজেদের পাশাপাশি কল্পনাও করি ! সামাজিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো তো দূরের কথা ! সামাজিক অবস্থানে অন্ত্যজ এই গোষ্ঠীকেই কি কেউ কেউ ঋষি সম্প্রদায় বলে থাকে ?
এতো সুন্দর সুন্দর জুতো সংস্কার করে তৈরি করে, কিন্তু কখনোই তাকে এসব ব্যবহার করতে দেখি নি। এটাই কি তার সামাজিক সীমাবদ্ধতা ? কী সেই সীমাবদ্ধতা ?
.
[somewherein]
[আহা জীবন..]..’ভিক্ষা নয়’
Posted 26/08/2009
on:- In: আহা জীবন
- মন্তব্য করুন
[আহা জীবন..]..’ভিক্ষা নয়’
রণদীপম বসু
.
যদি ভিক্ষা না পেতো, আমি আপনি আমরা পুণ্যি নামক অলৌকিক বায়বীয় এবং অপ্রমাণিত না জানি কি পাওয়ার উছিলায় চূড়ান্ত বিচারে ক্ষতিকর এই ভিক্ষা দেয়ার কাজটি করে নিজেদের দায়বদ্ধতা ও অপরাধবোধকে জানতে-অজানতে ঢেকে রাখা কিংবা এড়িয়ে যাবার চেষ্টাটি না করতাম, তাহলে হয়তো ভিক্ষা না পেয়ে এরা শ্রমবিমুখ এই ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে শ্রমসাধ্য কোনো উপার্জনক্ষমতায় নিজেদের জড়িয়ে নিতে বাধ্য হতো।
.
.
.
.
.
.
.
.
মানবতার জন্য চরম অপমানকর এই পেশাহীন পেশা-প্রবৃত্তিটিকে আর কতোকাল টিকিয়ে রেখে মানবিক বৃত্তিগুলোকে ধ্বংস করবো আমরা ! অশুভ ক্যান্সারের মতো ভিক্ষাবৃত্তির পেছনেও যে অবিশ্বাস্য কিছু প্রভাবশালী সিন্ডিকেট খুব প্রবল ও জঘন্যভাবে সক্রিয় থাকতে পারে তা কি কখনো ভেবেছি আমরা ?
আচমকা আপনার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়া ভিক্ষুকটির চোখের দিকে তাকিয়ে কখনো কি ভেবেছি আমরা, নিজের কারণে সে ভিক্ষুক হয় নি ! তার পেছনে আমি আপনি আমরাই জড়িত, প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে !
.
[somewherein]
[আহা জীবন..]..’সাপ’
Posted 26/08/2009
on:- In: আহা জীবন
- মন্তব্য করুন
[আহা জীবন..]..’সাপ’
রণদীপম বসু
.
ভিক্ষার নতুন স্টাইল ?
গলায় বেশ মোটাতাজা একটা গোখরো সাপ। দেখলেই গা রি রি করে ওঠে ! বিষদাঁত নেই বুঝাই যায়। নইলে এমন নির্বিবাদে ঝুলে থাকার কথা নয়। মিনিটে আটবার করে দুফালি লিকলিকে জিহ্বার ছলকানি দেখলে ছমছম করে ওঠে গা। যে মহিলার গলায় ওটা, বেদে যে সে নয় তাও চেহারায় স্পষ্ট। ইশারায় সাপটাকে দেখিয়ে হাতটা বাড়িয়ে দিলো সামনে। ভিক্ষা। তাহলে কি সাপের খাবার যোগাড়ে নেমেছে ! আহা, আজকাল নিজের পেট দেখিয়ে আর পাবলিকের মন ভেজানো যায় না ?
একটা কথাও বলানো যায় নি তার মুখ দিয়ে। ফ্যালফ্যাল চাউনি, আর ইশারায় সাপটাকে দেখিয়ে ভিক্ষা নেয়ার আকুতি। দেখে বড় কষ্ট হলো। সাধারণত ভিক্ষা আমি দেই না। কেন দেই না তা ভিন্ন প্রসঙ্গ।
দুটো টাকা বাড়িয়ে দিলাম। সাপের জন্য নয়। চেহারায় ভেসে ওঠা ক্ষুধাক্রান্ত মহিলাটির জন্য।
.
[somewherein]
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ