Archive for the ‘যোগ-দর্শন’ Category
- In: দর্শন | ন্যায়দর্শন | বই-পত্র | বৈশেষিক-দর্শন | যোগ-দর্শন | সাংখ্য-দর্শন
- মন্তব্য করুন
চার্বাকেতর ভারতীয় দর্শন-২য় খণ্ড
(ন্যায়, বৈশেষিক, সাংখ্য ও যোগ দর্শন)
…
প্রাচীন ভারতীয় দর্শনে আস্তিক্যবাদী যে ছয়টি দর্শনকে ষড়্দর্শন বলা হয়ে থাকে, তার অন্যতম ন্যায়, বৈশেষিক, সাংখ্য ও যোগ দর্শন। ন্যায়শাস্ত্র হলো বুদ্ধিবাদী বা যুক্তিবাদী দর্শন। ভারতীয় তর্কশাস্ত্রের উৎস ও যথার্থ জ্ঞান লাভের প্রণালী হিসেবেই ন্যায় দর্শনকে আখ্যায়িত করা হয়। আর বৈশেষিক দর্শনের ‘পদার্থতত্ত্ব’ বা ‘বিশ্বতত্ত্বে’র জ্ঞান প্রাচীনকালে যে কোন ছাত্রের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হতো। বিশ্বতত্ত্বের আলোচনাই বৈশেষিক দর্শনের প্রধান আলোচনা। অন্যদিকে সাংখ্যদর্শন বা সাংখ্যশাস্ত্রকে প্রাচীনতম ভারতীয় দর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য তথা স্মৃতি, পুরাণ ও অন্যান্য শাস্ত্র গ্রন্থগুলিতে সাংখ্যদর্শনের বিপুল প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। দার্শনিক তত্ত্বের দিক থেকে সাংখ্য ও যোগ দর্শনের মধ্যে প্রভেদ খুবই সামান্য। একটি তত্ত্বমূলক, অন্যটি প্রয়োগমূলক দর্শন। যোগ দর্শনে সাংখ্যের পঁচিশটি তত্ত্বের সাথে অতিরিক্ত একটি তত্ত্ব ঈশ্বরতত্ত্ব যুক্ত করে ঈশ্বর স্বীকৃত হয়েছে বলে নিরীশ্বর-সাংখ্যের বিপরীতে যোগ দর্শনকে ‘সেশ্বর-সাংখ্য’ও বলা হয়ে থাকে। একই উপনিষদীয় পরিমণ্ডলে থেকেও দর্শনগুলির মধ্যে পারস্পরিক বৈচিত্র্য অত্যন্ত কৌতুলোদ্দীপক। Read the rest of this entry »
| যোগ দর্শন- ০৬ : পুরুষের বন্ধন ও কৈবল্য |
রণদীপম বসু
…
৬.০ : পুরুষের বন্ধন ও কৈবল্য
…
সাংখ্য-যোগমতে সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই ত্রিগুণাত্মক প্রকৃতি ও প্রকৃতিজাত সবকিছুই দুঃখদায়ক। সত্ত্বপ্রধান বুদ্ধি পুরুষের সন্নিধানে পুরুষকে প্রতিবিম্বিত করে। কিন্তু অবিদ্যাবশত পুরুষ তখন বুদ্ধির সঙ্গে নিজের অভেদ কল্পনা করে এবং এর ফলে বুদ্ধির দুঃখ পুরুষে আরোপিত হয়। তাই যোগমতে, তমোগুণ উদ্ভূত অজ্ঞানের প্রভাবে সত্ত্বপ্রধান প্রকৃতির পরিণাম বুদ্ধির সঙ্গে আত্মার অভেদজ্ঞানই হলো আত্মার বন্ধন। আত্মা বুদ্ধিতে প্রতিবিম্বিত হলে বুদ্ধিকে চৈতন্যযুক্ত এবং আত্মাকে বুদ্ধিযুক্ত বলে মনে হয়। একেই পুরুষ-প্রকৃতির অভেদজ্ঞান বলে। পাতঞ্জলসূত্রে বলা হয়েছে-
‘দ্রষ্টৃদৃশ্যোপরক্তং চিত্তং সর্ব্বার্থম্’। (পাতঞ্জলসূত্র-৪/২২)
অর্থাৎ : দ্রষ্টা আত্মা দৃশ্য বুদ্ধিতত্ত্বে উপরক্ত বা প্রতিবিম্বিত হলে সেই বুদ্ধিতত্ত্ব বা চিত্ত সর্বপ্রকাশক হয় (পাতঞ্জল-৪/২২)।
| যোগ দর্শন-০৫ : যোগদর্শনে ঈশ্বরতত্ত্ব |
রণদীপম বসু
…
৫.০ : যোগদর্শনে ঈশ্বরতত্ত্ব
…
ভারতীয় জনশ্রুতি অনুসারে সাংখ্যদর্শন নিরীশ্বর সাংখ্য এবং যোগদর্শন সেশ্বর সাংখ্যরূপে গণ্য হয়। অর্থাৎ, সাংখ্যদর্শনে ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকৃত হয়েছে, কিন্তু সাংখ্যকথিত পঞ্চবিংশতি তত্ত্ব ছাড়াও যোগ দর্শনে ঈশ্বরতত্ত্ব স্বীকৃত হয়েছে। তবে অন্যান্য ঈশ্বরবাদী দর্শনের মতো যোগদর্শনে জগতের সৃষ্টিকর্তারূপে ঈশ্বরকে স্বীকার করা হয়নি। এখানে ঈশ্বর প্রধান নয়, আবার পুরুষমাত্র নন। তিনি ঐশ্বর্যযুক্ত, চিত্তবান, সদামুক্ত, পুরুষবিশেষ। Read the rest of this entry »
| যোগ দর্শন-০৪ : অষ্টাঙ্গিক যোগ |
Posted 30/12/2012
on:- In: যোগ-দর্শন
- 2 Comments
| যোগ দর্শন-০৪ : অষ্টাঙ্গিক যোগ |
রণদীপম বসু
…
৪.০ : অষ্টাঙ্গিক যোগ
…
যোগদর্শন হলো প্রধানত সাধনশাস্ত্র ও প্রয়োগবিদ্যা। যোগমতে প্রকৃতি ও পুরুষের ভেদজ্ঞান বা বিবেকখ্যাতি হলো কৈবল্য লাভ বা মুক্তিলাভের উপায়। বিবেকখ্যাতির অর্থ হলো পুরুষ বা আত্মা দেহ, মন, বুদ্ধি ও অহঙ্কার থেকে পৃথক শুদ্ধ চৈতন্য সত্তা। এই বিবেকখ্যাতির জন্য প্রয়োজন চিত্তবৃত্তির নিরোধ। যোগশাস্ত্র অনুযায়ী চিত্তবৃত্তি নিরোধের দুটি প্রধান উপায় হলো অভ্যাস ও বৈরাগ্য। বৈরাগ্যের দ্বারা বিষয়ে বৈরাগ্য আসে এবং অভ্যাসের দ্বারা বিবেক-জ্ঞানের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। কিন্তু ধারণা, ধ্যান, সমাধি প্রভৃতি অভ্যাস করার মতো চিত্তশুদ্ধি যাদের হয়নি তাদের জন্য প্রথমে চিত্তবৃত্তি নিরোধের সাক্ষাৎ উপায় হিসেবে আটটি যোগাঙ্গ অভ্যাসের মাধ্যমে অগ্রসর হবার কথা বলা হয়েছে। এগুলি একসঙ্গে অষ্টাঙ্গ-যোগ নামে পরিচিত। Read the rest of this entry »
| যোগ দর্শন-০৩ : চিত্তবৃত্তি নিরোধ ও সমাধি |
রণদীপম বসু
…
৩.০ : চিত্তবৃত্তি নিরোধ ও সমাধি
…
যোগদর্শনে চিত্তের কতগুলি বিকারকে একত্রে চিত্ত বলা হয়। এই বিকারগুলি হলো মন, বুদ্ধি এবং অহঙ্কার। এবং যোগমতে চিত্তবৃত্তির নিরোধকে যোগ বলা হয়েছে। যোগসূত্রকার পতঞ্জলি যোগের লক্ষণ প্রসঙ্গে তাই বলেন-
‘যোগশ্চিত্তবৃত্তি নিরোধঃ’- (যোগসূত্র)
অর্থাৎ : চিত্তের বিভিন্ন প্রকারের বৃত্তির নিরোধই যোগ।
| যোগ দর্শন-০২ : যোগ মনস্তত্ত্ব |
Posted 29/12/2012
on:রণদীপম বসু
…
২.০ : যোগ মনস্তত্ত্ব
…
২.১ : চিত্ত
| যোগ দর্শন-০১ : ভূমিকা |
Posted 29/12/2012
on:| যোগ দর্শন-০১ : ভূমিকা |
রণদীপম বসু
…
…
ভারতীয় আধ্যাত্মদর্শনে অন্যতম প্রভাবশালী দর্শন হলো যোগ দর্শন। মহর্ষি পতঞ্জলি এই দর্শনের সূত্রকার। ‘যোগসূত্র’ বা ‘পাতঞ্জলসূত্র’ই এই দর্শনের মূল বা সূত্রগ্রন্থ। পতঞ্জলির নাম অনুসারে এই দর্শনকে পাতঞ্জল দর্শনও বলা হয়। দার্শনিক তত্ত্বের দিক থেকে সাংখ্য ও যোগ দর্শনের মধ্যে প্রভেদ খুবই সামান্য। তাই এ দুটোকে পরস্পর সমানতন্ত্র দর্শন বলা হয়। মহর্ষি কপিলের সাংখ্য দর্শনে স্বীকৃত পঞ্চবিংশতি তত্ত্বে কোন ঈশ্বরকে স্বীকার করা হয় নি। সাংখ্যের পঞ্চবিংশতি তত্ত্ব বা পঁচিশ প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- (১) জ্ঞ বা পুরুষ, (২) অব্যক্ত বা মূলপ্রকৃতি বা প্রধান, (৩) মহৎ বা বুদ্ধি, (৪) অহংকার, (৫) মনস্ বা মন (৬) পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয় (চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, ত্বক- এই পাঁচটি), (৭) পঞ্চকর্মেন্দ্রিয় (বাক্, পাণি, পাদ, পায়ু, উপস্থ- এই পাঁচটি), (৮) পঞ্চতন্মাত্র বা পঞ্চসূক্ষ্মভূত (শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস, গন্ধ- এই পাঁচটি), (৯) পঞ্চস্থূলভূত বা পঞ্চমহাভূত (ক্ষিতি বা পৃথিবী, অপ্ বা জল, তেজ বা অগ্নি, মরুৎ বা বায়ু, আকাশ বা ব্যোম্- এই পাঁচটি)। অন্যদিকে পতঞ্জলির যোগ দর্শনে সাংখ্যের পঁচিশটি তত্ত্বের সাথে অতিরিক্ত একটি তত্ত্ব ঈশ্বরতত্ত্ব যুক্ত করে ঈশ্বর স্বীকৃত হয়েছে বলে নিরীশ্বর-সাংখ্যের বিপরীতে যোগ দর্শনকে ‘সেশ্বর-সাংখ্য’ও বলা হয়ে থাকে। Read the rest of this entry »
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ