h-o-r-o-p-p-a-হ-র-প্পা

Archive for the ‘মীমাংসা-দর্শন’ Category

14963039_1803376539901842_700874159_n

চার্বাকেতর ভারতীয় দর্শন-৩য় খণ্ড
(পূর্ব-মীমাংসা)

মীমাংসাশাস্ত্র নিঃসংশয়ে বৈদিক বা বেদমূলক দর্শন হলেও অনেকাংশে তা ব্যাকরণ এবং ন্যায়শাস্ত্রের বাদার্থ বা শব্দখণ্ডের মতো। পদশাস্ত্র হলো ব্যাকরণ এবং প্রমাণশাস্ত্র হলো ন্যায়। এই পদবাক্যপ্রমাণ-তত্ত্বজ্ঞ না হলে প্রাচীনকালে কেউ সুপণ্ডিত বলে বিবেচিত হতেন না। এই দর্শনের প্রধান উপজীব্য হলো বেদের অপৌরুষেয়ত্ব ও নিত্যত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈদিক কর্মকাণ্ডের স্বতসিদ্ধতা প্রমাণ করা। একদিকে বিভিন্ন দেব-দেবী ও ঈশ্বরের অস্তিত্বে প্রচণ্ড অবিশ্বাসী এ দর্শনের বস্তুবাদী বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিস্রোতের পাশাপাশি যজ্ঞানুষ্ঠানের মতো একটি আদিম কুসংস্কারের মধ্যে যাদুক্ষমতা আরোপ প্রচেষ্টার চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রাচীন দর্শনটিকে জটিল স্ববিরোধিতায় ঠেলে দিয়েছে বলে একালের বিদ্বানেরা মনে করেন। এটি সাংখ্য, বৌদ্ধ বা ন্যায়-বৈশেষিক দর্শনের মতো একটা সুশৃঙ্খল সুসংহত দার্শনিক প্রস্থানরূপে গড়ে ওঠেনি, গড়ে উঠেছে যাগযজ্ঞসম্পৃক্ত মন্ত্ররাশির অর্থবিচারকে উপলক্ষ করে। এই দর্শনের মুখ্য উদ্দেশ্য কোন বিশুদ্ধ দার্শনিক তত্ত্বের উদ্ভাবন ও প্রচার নয়। মুখ্য উদ্দেশ্য যাগযজ্ঞের সামাজিক প্রয়োজন অক্ষুণ্ন ও অব্যাহত রাখার জন্য মন্ত্রার্থবিচার। এই বিচারের প্রসঙ্গেই প্রয়োজনানুরূপ দার্শনিক যুক্তিতর্ক বিক্ষিপ্তভাবে উপস্থিত হয়েছে।
Read the rest of this entry »

ট্যাগ সমুহঃ , ,

247249_538972072783681_2043413948_n.

| মীমাংসা দর্শন-১৯ : মীমাংসা-মতে স্বর্গ ও মোক্ষ |
রণদীপম বসু

৪.৬ : মীমাংসা-মতে স্বর্গ ও মোক্ষ


মীমাংসা-শাস্ত্রে যজ্ঞকর্মকেই যজ্ঞফলের অদ্বিতীয় কারণ বলে স্বীকার করা হয়। কিন্তু যজ্ঞকর্ম যেহেতু ক্ষণিক এবং এর ফল ক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎপন্ন হয় না, তাই প্রশ্ন আসে, যজ্ঞক্রিয়াকে কীভাবে ফল-উৎপাদক বলা যায় ? যেমন, বেদের বিধিতে বলা হয়- ‘দর্শপূর্ণমাসাভ্যাং স্বর্গকামো যজেত’- অর্থাৎ, স্বর্গকামী ব্যক্তি দর্শপূর্ণমাস নামের যজ্ঞ করবেন। এই স্বর্গফল প্রাপ্তি কীভাবে সম্ভব হতে পারে ? যজ্ঞের এই ফল-উৎপাদক শক্তিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মীমাংসকরা ‘অপূর্ব’ নামের একটি অদৃষ্ট-শক্তির ধারণা আনয়ন করেন। এই ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে, যজ্ঞক্রিয়া বিনষ্ট হলেও তার মাধ্যমে সৃষ্ট অপূর্ব-শক্তিটি কার্যকরি থাকে এবং এই শক্তিই শেষ পর্যন্ত ফল সৃষ্টি করে। বেদ যেহেতু ভ্রান্ত হতে পারে না, এবং বেদ অনুসারে যাগ থেকে স্বর্গাদি ফল উৎপন্ন হয় উল্লেখ আছে, অতএব মানতেই হবে যাগ এবং স্বর্গাদি-ফল উভয়ের মধ্যে শক্তিবিশেষ উৎপন্ন হয়। Read the rest of this entry »

307890_527550600592495_718042209_n.

| মীমাংসা দর্শন-১৮ : মীমাংসায় ভাববাদ-খণ্ডন |
রণদীপম বসু

৪.৫ : মীমাংসায় বাহ্যবস্তুবাদী যুক্তিতে ভাববাদ-খণ্ডন


ভারতীয় দর্শন জগতে মীমাংসাদর্শনকে আপাতদৃষ্টিতে একটি কূহেলিকাময় দর্শন বলা চলে। যজ্ঞকর্ম থেকে যজ্ঞফল হিসেবে প্রাপ্ত অপূর্বশক্তি নামের এক আদিম জাদুবিশ্বাসকে সমর্থন ও উৎসাহের মাধ্যমে সৃষ্ট এই দর্শন একদিকে যেমন প্রচণ্ড গোঁড়ামিতে পূর্ণ, অন্যদিকে ঈশ্বর দেবতা ইত্যাদি কোনো অলৌকিক সত্তায় অস্বীকার করে লৌকিক সত্তায় বিশ্বাসী বাহ্যবস্তুবাদী অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠায় ব্রতি হয়েছে। এর পেছনে মীমাংসকদের যুক্তিগ্রাহ্যতা হলো, প্রত্যক্ষসিদ্ধ বহির্জগৎ বাস্তব বা যথার্থ না হলে যজ্ঞকর্ম, যজ্ঞফল প্রভৃতি সবই অর্থহীনতায় পর্যবসিত হবার আশঙ্কা। Read the rest of this entry »

427267_506188162728739_1008116371_n.

| মীমাংসা দর্শন-১৭ : বৈদিক দেবতা প্রসঙ্গে মীমাংসা-মত |
-রণদীপম বসু

৪.৪ : বৈদিক দেবতা প্রসঙ্গে মীমাংসা-মত


বেদে প্রচুর সংখ্যক দেব-দেবীর প্রতি স্তুতিপূর্ণ মন্ত্র-পূজাদির উপস্থিতি থেকে স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা যেতে পারে যে, মীমাংসকরা ঐকান্তিক অর্থে বেদপন্থী বলেই সর্বজ্ঞ সর্বশক্তিমান কোনো ঈশ্বর অস্বীকার করলেও তাঁরা অন্তত বৈদিক দেবতাদের কর্তৃত্বে বিশ্বাসী হবেন, এবং এই অর্থে তাদের মতবাদ বহু-দেববাদী হওয়াই সম্ভব। কিন্তু, আপাত-বিস্ময়কর মনে হলেও এটাই ঠিক যে, মীমাংসকরা বৈদিক দেবতাদের কর্তৃত্ব- এমনকি তাঁদের সত্তাও- সম্পূর্ণভাবেই অস্বীকার করেছেন। মীমাংসাসূত্রে মহর্ষি জৈমিনি বলেন-  

‘অপি বা শব্দপূর্ব্বত্বাদ্ যজ্ঞকর্ম্ম প্রধানং স্যাদ্ গুণত্বে দেবতাশ্রুতিঃ।’- (শাবরভাষ্য-মীমাংসাসূত্র-৯/১/৯)
অর্থাৎ : একপদ শ্রুতি দ্বারা বোধিত যাগের কর্ম, অর্থাৎ যাগজন্য যে অপূর্ব, তা-ই প্রধান। সেই অপূর্বের অঙ্গরূপে দেবতাবিষয়ক শাস্ত্রবচন। (তর্জমা- সুখময় ভট্টাচার্য্য)


Read the rest of this entry »

images_12.

| মীমাংসা দর্শন-১৬ : মীমাংসা-মতে ঈশ্বর |
-রণদীপম বসু

৪.৩ : মীমাংসা-মতে ঈশ্বর


মীমাংসার মূল আলোচ্য-বিষয় অবশ্যই বৈদিক যাগযজ্ঞ বা ক্রিয়াকর্ম- আধুনিক অর্থে যা দার্শনিক আলোচনা নয়। অর্থাৎ, মীমাংসকরা তত্ত্ব-লাভের উদ্দেশ্যে দর্শন-চর্চা করেননি। তবুও তাঁরা যে অনিবার্যভাবেই দার্শনিক সমস্যা উত্থাপন ও আলোচনা করতে বাধ্য হয়েছিলেন তার কারণ এই যাগযজ্ঞে চরম বিশ্বাস স্থাপন করতে হলে বিশ্বপ্রকৃতি এবং মানবিক প্রচেষ্টাদি সংক্রান্ত একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিও অবলম্বন করা প্রয়োজন। অনুমান হয়, সুপ্রাচীন কালে যাজ্ঞিকদের মধ্যে যজ্ঞকর্মের নানা খুঁটিনাটি নিয়ে বিভেদ ও বিতর্ক থাকলেও যে-মূল বিশ্বাসের ভিত্তিতে যজ্ঞের চরম গুরুত্ব প্রতিষ্ঠিত সে-সম্পর্কে সংশয়ের অবকাশ ছিলো না; সে-বিশ্বাস তাঁদের কাছে স্বতঃসিদ্ধ অতএব প্রমাণ-সাপেক্ষ না হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু কালক্রমে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে অন্যান্য দার্শনিক সম্প্রদায় গড়ে উঠার প্রেক্ষিতে সেগুলির দিক থেকে বিশ্বপ্রকৃতি ও মানবপ্রচেষ্টাদি প্রসঙ্গে যে-সব মত প্রস্তাবিত হয়েছে তার সঙ্গে যাজ্ঞিকদের মূল বিশ্বাসের অনিবার্য সংঘাতও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছিলো। ফলে প্রয়োজন হয়েছে সেই মূল বিশ্বাসের যুক্তিতর্কমূলক সমর্থন ও সংরক্ষণ এবং তার সঙ্গে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মত খণ্ডন- অন্তত অন্যান্য সম্প্রদায়ের সেই দাবিগুলি খন্ডন করবার প্রয়োজন হয়েছে যার সঙ্গে যাজ্ঞিকদের মূল বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির সংহতি সম্ভব নয়। এভাবেই দার্শনিকতত্ত্ব মীমাংসার মূখ্য বিষয়বস্তু না হলেও মীমাংসকরা ক্রমশই দার্শনিক আলোচনায় প্রবৃত্ত হতে বাধ্য হয়েছিলেন। তবে মীমাংসকরা যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করেন না, তা বেদান্তশান্ত্রের মধুসূদন সরস্বতীর ‘অদ্বৈতসিদ্ধি’ গ্রন্থেও উল্লেখ পাওয়া যায়-  

‘নাস্তি সর্ব্বজ্ঞত্বাদ্যুপেতং ব্রহ্মেতি মীমাংসকাঃ।’- (অদ্বৈতসিদ্ধি)
অর্থাৎ : মীমাংসকগণ বলেন যে, সর্বজ্ঞতাদিবিশিষ্ট ঈশ্বর নেই।

Read the rest of this entry »

380712_496249430389279_962211301_n.

| মীমাংসা দর্শন-১৫ : অপূর্ব-বাদ |
-রণদীপম বসু

৪.২ : অপূর্ববাদ 


মীমাংসার একটি মৌলিক সিদ্ধান্ত হলো- ‘আম্লায়স্য ক্রিয়ার্থত্বম্’- অর্থাৎ, বেদের তাৎপর্য হলো ক্রিয়া।
এখানে ক্রিয়া বলতে যাজ্ঞিক ক্রিয়াকলাপ বোঝাচ্ছে। কিন্তু কেন যজ্ঞকর্ম করতে হবে ? যেহেতু বেদে যাগযজ্ঞ অনুষ্ঠানের নির্দেশ রয়েছে তাই যাগযজ্ঞ অনুষ্ঠান বেদ নির্দেশিত বলে তা করতে হবে। মীমাংসকরা বৈদিক যাগযজ্ঞ অনুষ্ঠানকে অনুমোদন করলেও এই সব যাগযজ্ঞ দেবতাদের তুষ্ট করার জন্য করতে হবে তা সমর্থন করেন না। তবে কোনো কর্তব্য সম্পাদন করলে কর্তব্য সম্পাদনে যে ফল লাভ হয় এ কথা মীমাংসকরা বিশ্বাস করেন। তাই লৌকিক শুভকর্ম এবং বেদ-বিহিত কর্মের অনুষ্ঠানের দ্বারা মানুষ ঐহিক ও পারলৌকিক শুভফল লাভ করতে পারে। এই ফল কোন ঈশ্বর প্রদান করে না, কেননা মীমাংসা-মতে কর্তব্য কোনো বেদ নিহিত ঈশ্বরের আদেশ নয়। মীমাংসকরা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না এবং তাঁরা ‘ঈশ্বর’ নামের কোনো অতি-প্রাকৃত সত্তার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না। তাঁদের মতে কর্তব্য-কর্মের ফললাভ হয় কর্ম নিয়ম অনুসারে। কিন্তু এই কর্ম নিয়ম কী ? Read the rest of this entry »

vedas%201.

| মীমাংসা দর্শন-১৪ : বিধি ও অর্থবাদ |
রণদীপম বসু

(গ) বিধি ও অর্থবাদ :

মীমাংসা-মতে যজ্ঞকথাই বৈদিক সাহিত্যের প্রাণবস্তু; অথএব বৈদিক সাহিত্যে এমন কিছুই থাকতে পারে না যা-কিনা যজ্ঞের দৃষ্টিকোণ থেকে অবান্তর। বেদের সংহিতা (মন্ত্র), ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ এসব মিলিয়ে বেদের অনেক ভাগ বলা হলেও প্রধানত বেদের দুই ভাগ- মন্ত্র এবং ব্রাহ্মণ।

প্রাচীন মীমাংসকরা মন্ত্র শব্দের সঠিক সংজ্ঞা দেননি; কিন্তু সাধারণভাবে তাঁদের মতে বেদের যে-অংশ বিধির নির্দেশক নয় তবুও বৈদিক দেবতাদির নাম প্রভৃতি নির্দেশ করে যে-বাক্যগুলি যজ্ঞকর্মের সহায়ক সেগুলিকেই মন্ত্র বলে। মন্ত্র কাকে বলে- এই জিজ্ঞাসার উত্তরে মাধবাচার্য বলছেন-  

‘যাজ্ঞিকানাং সমাখ্যানং লক্ষণং দোষবর্জ্জিতম্’।- (বিবরণপ্রমেয়সংগ্রহ)
অর্থাৎ : গুরুশিষ্যপরম্পরায় মীমাংসকসম্প্রদায় বেদের যে অংশকে মন্ত্র বলে অধ্যয়ন-অধ্যাপনা করছেন, সেই অংশকে মন্ত্র বললেই মন্ত্রের যথার্থ লক্ষণ বলা হয়।

.
মন্ত্র সম্বন্ধে মহর্ষি জৈমিনি তাঁর মীমাংসাসূত্রে বলেন-

‘তচ্চোদকেষু মন্ত্রাখ্যা’।- (মীমাংসাসূত্র-২/১/৩২)
অর্থাৎ : যে-সকল শ্রুতি অনুষ্ঠেয় পদার্থের নিমিত্ত প্রযুক্ত, সেগুলিকে মন্ত্র বলে।

.
ভট্টপাদ কুমারিল বলেছেন- যে-সকল শ্রুতিবাক্যের অন্তে ‘অসি’ বা ‘ত্বা’ আছে, যে-বাক্যে আমন্ত্রণ, স্তুতি, সংখ্যা, পরিবেদন ইত্যাদি রয়েছে- সেইসব বাক্য সাধারণত মন্ত্র। আর শাস্ত্রীয় পরিভাষায় বলা হয়েছে-  

‘মন্ত্রাণাং প্রয়োগসমবেতার্থস্মারকত্বম্’।
অর্থাৎ : মন্ত্রগুলি অনুষ্ঠানের সাথে সমবেত-সম্বন্ধে যুক্ত এবং স্মারক।

বিভিন্ন যাগযজ্ঞে প্রযোজ্য মন্ত্রের সমাবেশ সংহিতায়। মন্ত্র ছাড়া বেদের বাকি সব অংশই ব্রাহ্মণ। মহর্ষি জৈমিনি তাঁর সূত্রগ্রন্থে ব্রাহ্মণ সম্বন্ধে শুধু বলেছেন-

‘শেষে ব্রাহ্মণশব্দঃ।’- (মীমাংসাসূত্র-২/১/৩৩)
অর্থাৎ : মন্ত্রাতিরিক্ত বেদভাগে ব্রাহ্মণশব্দ প্রযুক্ত হয়।

.
মূলত, মন্ত্র এবং ব্রাহ্মণ ভিন্ন বেদে অন্য কিছু নেই- এটা প্রকাশ করাই জৈমিনির অভিপ্রায়। বেদের  ব্রাহ্মণ-অংশ বিধিমূলক বৈদিক ক্রিয়াকর্মের নির্দেশক। বিবিধ যজ্ঞের বিধান রয়েছে বিত্বায়কবাক্যবহুল ব্রাহ্মণে। কোন্ যজ্ঞবিশেষে কোন্ মন্ত্রবিশেষের ‘বিনিয়োগ’ হবে তার বিধান দেয়া হয়েছে। কিন্তু বেদের এই ব্রাহ্মণ-অংশে এমন অনেক বাক্য আছে যার মধ্যে কোন বিধির নির্দেশ নেই; ব্রাহ্মণ-অংশের এ-জাতীয় বাক্যকে মীমাংসকরা দু-ভাগে ভাগ করেন- অর্থবাদ এবং নাম-ধেয়।  তাই মীমাংসাশাস্ত্রে বিচার্য বিষয়ের দিক থেকে বেদের ভাগগুলি হলো- মন্ত্র, বিধি, নামধেয় এবং অর্থবাদ। আবার মন্ত্রকে বাদ দিয়ে বেদের বিধি, নিষেধ, নামধেয় ও অর্থবাদ এই চতুর্বিভাগও প্রচলিত আছে। কেউ কেউ বিচার্যের দিক থেকে বেদকে সরাসরি দুটি ভাগে ভাগ করেন- বিধি এবং (বাদবাকি সব) অর্থবাদ। Read the rest of this entry »


রণদীপম বসু


‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই। তা প্রকাশ করতে যদি লজ্জাবোধ হয়, তবে সে ধরনের চিন্তা না করাই বোধ হয় ভাল।...’
.
.
.
(C) Ranadipam Basu

Blog Stats

  • 1,235,198 hits

Enter your email address to subscribe to this blog and receive notifications of new posts by email.

Join 188 other subscribers
Follow h-o-r-o-p-p-a-হ-র-প্পা on WordPress.com

কৃতকর্ম

সিঁড়িঘর

দিনপঞ্জি

মে 2024
রবি সোম বুধ বৃহ. শু. শনি
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

Bangladesh Genocide

1971 Bangladesh Genocide Archive

War Crimes Strategy Forum

লাইভ ট্রাফিক

ক’জন দেখছেন ?

হরপ্পা কাউন্টার

Add to Technorati Favorites

গুগল-সূচক

Protected by Copyscape Web Plagiarism Check

Flickr Photos