Posts Tagged ‘ক্ষণ’
.
| অনাত্মবাদী বৌদ্ধদর্শন-০৭ : সর্বাস্তিবাদ- সৌত্রান্তিক ও বৈভাষিক মত |
-রণদীপম বসু
…
(…আগের পর্বের পর)
…
৪.৩ : সর্বাস্তিবাদী বৌদ্ধ দর্শন : সৌত্রান্তিক ও বৈভাষিক মত (Buddhism: Soutrantik-Boibhashik
.
সৌত্রান্তিক ও বৈভাষিক মত হচ্ছে হীনযান বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্তর্গত সর্বাস্তিবাদের দু’টি রূপ। এই দুই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উদ্ভব সর্বাস্তিবাদে এবং উভয়ের প্রাচীন নাম ছিলো সর্বাস্তিবাদ, যাঁরা হীনযান বৌদ্ধের আঠারোটি প্রাচীন সম্প্রদায়ের অন্যতম। বুদ্ধের পরিনির্বাণের (৪৮৩ খ্রিস্টপূর্ব) পরবর্তী চার বা পাঁচ শতক ধরে এই সর্বাস্তিবাদ বিকশিত ও পরিপুষ্ট হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয়। ‘সর্বাস্তি’ নামের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে ‘সবকিছু আছে’, মানে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত বা অনাগত এই তিন কালেই সমস্ত কিছু বিদ্যমান এরূপ ধারণা। সর্বাস্তিবাদ সম্প্রদায়টি বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিম ভারতে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে প্রভাব বিস্তার করেছিলো। Read the rest of this entry »
| অনাত্মবাদী বৌদ্ধদর্শন-০৭ : সর্বাস্তিবাদ- সৌত্রান্তিক ও বৈভাষিক মত |
-রণদীপম বসু
…
(…আগের পর্বের পর)
…
৪.৩ : সর্বাস্তিবাদী বৌদ্ধ দর্শন : সৌত্রান্তিক ও বৈভাষিক মত (Buddhism: Soutrantik-Boibhashik
.
সৌত্রান্তিক ও বৈভাষিক মত হচ্ছে হীনযান বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্তর্গত সর্বাস্তিবাদের দু’টি রূপ। এই দুই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উদ্ভব সর্বাস্তিবাদে এবং উভয়ের প্রাচীন নাম ছিলো সর্বাস্তিবাদ, যাঁরা হীনযান বৌদ্ধের আঠারোটি প্রাচীন সম্প্রদায়ের অন্যতম। বুদ্ধের পরিনির্বাণের (৪৮৩ খ্রিস্টপূর্ব) পরবর্তী চার বা পাঁচ শতক ধরে এই সর্বাস্তিবাদ বিকশিত ও পরিপুষ্ট হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয়। ‘সর্বাস্তি’ নামের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে ‘সবকিছু আছে’, মানে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত বা অনাগত এই তিন কালেই সমস্ত কিছু বিদ্যমান এরূপ ধারণা। সর্বাস্তিবাদ সম্প্রদায়টি বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিম ভারতে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে প্রভাব বিস্তার করেছিলো। Read the rest of this entry »
ট্যাগ সমুহঃ অনুমান, অভিধম্ম, অভিধর্ম, অস্তিত্ব, আর্যস্থবির, ইন্দ্রিয়, কাত্যায়ণী, কুমারলব্ধ, কুমারলাত, ক্ষণ, ক্ষণিক, ঘট, চিত্ত, চৈত্ত, জ্ঞান, জ্ঞানপ্রস্থ, জ্ঞেয়, টীকা, তত্ত্ব, ত্রিপিটক, দর্শন, দার্শনিক, দুঃখ, নিত্য, পট, পরমার্থ, পিটক, প্রতিবিম্ব, প্রত্যক্ষ, বসুবন্ধু, বাণী, বাহ্যপ্রত্যক্ষবাদ, বাহ্যবস্তু, বাহ্যানুমেয়বাদ, বিজ্ঞান, বিনষ্ট, বিনয়, বুদ্ধ, বৈভাষিক, বৌদ্ধ, ব্যাপ্তি, ভূত, মত, মতবাদ, মনোজগৎ, যশমিত্র, রূপ, লক্ষণ, সত্তা, সত্য, সত্যসিদ্ধিশাস্ত্র, সম্প্রদায়, সর্বাস্তিবাদ, সামান্য, সুত্ত, সূত্র, সৌত্রান্তিক, স্কন্ধ, সৎ, হরিবর্মণ, হীনযান, boibhashik, buddhism, soutrantik
- In: বৌদ্ধদর্শন
- 4 Comments
| অনাত্মবাদী বৌদ্ধদর্শন-০৩ : বৌদ্ধমতের দার্শনিক সিদ্ধান্ত |
-রণদীপম বসু
…
(…আগের পর্বের পর)
…
৩.০ : বৌদ্ধমতের দার্শনিক সিদ্ধান্ত (Buddhism and Its Philosophy)
-রণদীপম বসু
…
(…আগের পর্বের পর)
…
৩.০ : বৌদ্ধমতের দার্শনিক সিদ্ধান্ত (Buddhism and Its Philosophy)
.
“অনিত্য, দুঃখ, অনাত্ম” (অঙ্গুত্তরনিকায়: ৩/১/৩৪)- এই একটিমাত্র সূত্রেই বুদ্ধের সমস্ত দর্শন গ্রথিত আছে বলে পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়নের অভিমত। এই সূত্রের মূল বক্তব্য হচ্ছে-
“অনিত্য, দুঃখ, অনাত্ম” (অঙ্গুত্তরনিকায়: ৩/১/৩৪)- এই একটিমাত্র সূত্রেই বুদ্ধের সমস্ত দর্শন গ্রথিত আছে বলে পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়নের অভিমত। এই সূত্রের মূল বক্তব্য হচ্ছে-
‘সর্বং অনিচ্চং, সর্বং দুক্খং, সর্বং অনাত্মং।’ (অঙ্গুত্তরনিকায়-৩/১/৩৪)
অর্থাৎ : যা কিছু সমস্তই অনিত্য, সমস্তই দুঃখ, সমস্তই অনাত্ম।
.
বুদ্ধমতে অনিত্য, দুঃখ ও অনাত্ম এই তিনটি বিষয়ে সম্যক জ্ঞান না থাকাই হচ্ছে অবিদ্যার লক্ষণ। অতএব, বৌদ্ধদর্শনের প্রতিপাদ্য বিষয়ই হলো এই তিনটি বৈশিষ্ট্যের বিশ্লেষণ। তবে বুদ্ধের মতবাদের দার্শনিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার যে, গৌতম বুদ্ধ কোন অধিবিদ্যা বা আধ্যাত্মবাদের দার্শনিক সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন নি। তিনি সংসারের ক্লেশকর প্রপঞ্চগুলো থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায় হিসেবে কিছু আচারমার্গের নীতিপন্থা প্রচারেই আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও দার্শনিক তত্ত্বকে তিনি সম্পূর্ণভাবে পরিহার করতে পারেননি। কেননা নৈতিক ও ধর্মীয় উপদেশেরও দার্শনিক ভিত্তি বর্তমান। দার্শনিক ভিত্তি ছাড়া নৈতিক ও ধর্মীয় উপদেশ যুক্তিহীন স্তোকবাক্যে পরিণত হয়। তাই সাগ্রহে না হলেও বুদ্ধ কতকগুলি দার্শনিক তত্ত্ব-বিষয়ে তাঁর স্বাধীন ও স্বকীয় সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ শক্তির পরিচয় দিয়েছেন। বলাই বাহুল্য যে, তাঁর দার্শনিক মত অত্যন্ত দুরূহ ও অনন্যসাধারণ। তাঁর অনেক সিদ্ধান্তই সাধারণ মানুষের সংস্কারকে রীতিমতো বিচলিত করে।
তার উপর ভিত্তি করেই বর্তমানে তাঁর সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী ধর্মমতের মধ্যে দার্শনিক প্রপঞ্চের যে সন্ধান আমরা পাই তা মূলত বুদ্ধের অনুসারী পরবর্তীকালের মেধাবী দার্শনিকদেরই অবদান। তাঁদের মাধ্যমেই বৌদ্ধদর্শন প্রকৃতপক্ষে দর্শনের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত।
Read the rest of this entry »
তার উপর ভিত্তি করেই বর্তমানে তাঁর সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী ধর্মমতের মধ্যে দার্শনিক প্রপঞ্চের যে সন্ধান আমরা পাই তা মূলত বুদ্ধের অনুসারী পরবর্তীকালের মেধাবী দার্শনিকদেরই অবদান। তাঁদের মাধ্যমেই বৌদ্ধদর্শন প্রকৃতপক্ষে দর্শনের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত।
Read the rest of this entry »
ট্যাগ সমুহঃ atheism, অকথনীয়, অনাত্ম, অনীশ্বর, অবিদ্যা, অস্তিত্ব, আত্মা, আনিত্য, ঈশ্বর, উপনিষদ, উপাদান, কথনীয়, কর্ম, কর্মবাদ, ক্ষণ, ক্ষণভঙ্গ, ক্ষণিক, চেতনা, জরা, জাতি, তত্ত্ব, তথাগত, তৃষ্ণা, দর্শন, দার্শনিক, দুঃখ, ধর্ম, নাগসেন, নাম, নামরূপ, নিকায়, নিত্য, নিরীশ্বর, নির্বাণ, নৈরাত্ম, পরিবর্তন, পুনর্জন্ম, পুর্বজন্ম, প্রতীত্য, প্রমাণ, বাদ, বিজ্ঞান, বুদ্ধ, বেদনা, বৌদ্ধ, ব্রহ্মা, ভঙ্গ, ভব, মত, মরণ, মৃত্যু, মৌন, রাহুল, রূপ, শরীর, শাশ্বত, ষড়ায়তন, সংস্কার, সমুৎপাদ, স্কন্ধ, স্পর্শ, স্বীকার, buddhism, philosophy
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ