Archive for জানুয়ারি 2010
…
|Arthashastra| চাণক্য-পণ্ডিতের কৌটিল্য-তত্ত্ব, ইতিহাসের টেরাকোটায় |
– রণদীপম বসু
…
– রণদীপম বসু
…
(০১)
‘মন খাঁটি হলে পবিত্র স্থানে গমন অর্থহীন।’
এই দুর্দান্ত উক্তিটির বয়স দু’হাজার বছরেরও বেশি, প্রায় আড়াই হাজার বছর। এটা চাণক্য-শ্লোক বা বাণী। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কথাটা কতোটা বিশ্বাসযোগ্য ? যদি বলি এর বিশ্বাসযোগ্যতা শূন্য ? একযোগে হামলে পড়বেন অনেকেই। বিশ্বাসযোগ্যই যদি না হবে তো আড়াই হাজার বছর পেরিয়ে এসেও কথাটা এমন টনটনে থাকলো কী করে ! আসলেই তা-ই। কথাটায় একবিন্দুও ফাঁকি দেখি না। হয়তো আমরাই মানি না বলে। অথবা অক্ষরে অক্ষরে এতোটাই মেনে চলি যে, জানান দেবার আর বাকি থাকে না- আমাদের মনটাই ফাঁকি, ওখানে খাঁটি বলে কিছু নেই। আর এজন্যেই কি পবিত্র স্থানে গমনের জন্য হুমড়ি খেয়ে আমাদের মধ্যে এমন হুড়োহুড়ি লেগে যায় ? অসুস্থ হলে যেমন আমরা হন্যে হয়ে ডাক্তারের কাছে ছুটি, এটাও সেরকম। খোশগল্প করার নিয়ত না হলে সুস্থাবস্থায় কেউ কি ডাক্তারের কাছে যান ! Read the rest of this entry »
ট্যাগ সমুহঃ arthashastra, অর্থশাস্ত্র, ইন্ডিকা, কৌটিল্য, চন্দ্রগুপ্ত, চানক্য, প্ল্যাটো, বিষ্ণুগুপ্ত, মৌর্য, রিপাবলিক, chanakya, chandragupta, indica, kautilya, plato, republic, vishnugupta
…
| দুই-মেগাপিক্সেল…| ’স্বাধীনতার সংগ্রাম’ |
রণদীপম বসু
…
| দুই-মেগাপিক্সেল…| ’স্বাধীনতার সংগ্রাম’ |
রণদীপম বসু
…
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার চমৎকার নিরিবিলি জায়গাটায় বিরাট সড়ক-দ্বীপের বিস্তৃত ক্ষেত্র জুড়ে নির্মাণ করা ‘স্বাধীনতার সংগ্রাম’ (swadhinotar sangram) নামের বিশাল ভাস্কর্যটা ঘিরে ছোট ছোট এতগুলো ভাস্কর্য ছড়িয়ে আছে যে, দুই-মেগাপিক্সেলের ছোট্ট ফ্রেমে সবগুলো একসাথে বেঁধে নেযা রীতিমতো বিব্রতকর। কিন্তু লোভ বড় খারাপ জিনিস। লোভে পড়েই গুলিয়ে ফেললাম সব। কিন্তু একটি একটি করে ছবি তুলে গোটা আবহটাকে আটকে নেয়াও তো সম্ভব নয় ! ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯। চারদিকে বিজয় দিবসের বিপুল আয়োজনের প্রস্তুতিময় দুপুরে এখানে এসে পড়লামই যখন, কী আর করা ! বাদাইম্যা আঙুল কি আর বশ মানে ! অতঃপর একেবারে লেজে-গোবরে অবস্থা ! Read the rest of this entry »
[Khona] খনা, জনভাষ্যে মিশে থাকা আমাদের লোকভাষ্যকার…|
-রণদীপম বসু
-রণদীপম বসু
…
০১.
‘মঙ্গলে ঊষা বুধে পা, যথা ইচ্ছা তথা যা’ কিংবা ‘কলা রুয়ে না কাটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত’ অথবা ‘বেঙ ডাকে ঘন ঘন, শীঘ্র হবে বৃষ্টি জান’ বা ‘বামুন বাদল বান, দক্ষিণা পেলেই যান’, এগুলো জনপ্রিয় খনার বচন। কৃষিভিত্তিক জন-মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত এরকম বহু লোক-বচনের সাথেই আমরা পরিচিত। খনার বচনও আছে প্রচুর। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমাদের লোক-সাহিত্যে খনা নামে কেউ কি আদৌ ছিলেন ? আসলে এ প্রশ্নটাও বিভ্রান্তিমূলক। কেননা লোক-সাহিত্য বলতেই আমরা বুঝে নেই যে, লোক-মুখে প্রচলিত সাহিত্য অর্থাৎ জনরুচির সাথে মিশে যাওয়া যে প্রাচীন সাহিত্য বা সাহিত্য-বিশেষের কোন সুনির্দিষ্ট রচয়িতার সন্ধান আমরা পাই না বা জানা নেই তা-ই লোক-সাহিত্য। সাহিত্যে যেহেতু রয়েছে, রচয়িতা আছে তো বটেই। কিন্তু তা লিপিবদ্ধ ছিলো না বলে কাল-চক্ষুর অন্তরালে হারিয়ে যাওয়া এই রচয়িতারা নাম-পরিচয় হারিয়ে চিহ্ণহীন লোকায়ত পরিচয়ে চিরায়ত জনস্রোতের অংশ হয়ে গেছেন। তাঁদের লিপিহীন মহার্ঘ রচনাগুলো হয়ে গেছে আমাদের সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ, অনেক গবেষক-সংগ্রাহকদের গভীর শ্রমসাধ্য অবদানে কালে কালে সংগৃহীত ও সংরক্ষিত হয়ে যাকে আমরা আজ লোক-সাহিত্য বলে চিহ্ণিত করছি। Read the rest of this entry »
| দুই-মেগাপিক্সেল…| ডাকসু-আর্কাইভ |
Posted 03/01/2010
on:১৬ ডিসেম্বর ২০০৯। চারদিকে বিজয় দিবসের বিপুল আয়োজনের প্রস্তুতিময় দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসু’র সংগ্রহশালাটি ইতিপূর্বেও চোখে পড়েছে বহুবার। কিন্তু এর ভেতরটায় ঢুকা হয়নি আগে। সে অতৃপ্তি থাকবে কেন ! সংগ্রহশালাটির পরিসর খুব অল্প বলেই হযতো সংগ্রহগুলোকে রাখতে হয়েছে ঠাশবুননে।
ভেতরের আলোয় দুই-মেগাপিক্সেলের চোখেও দেখে নিলাম কয়েক পলক। Read the rest of this entry »
ট্যাগ সমুহঃ ডাকসু আর্কাইভ, দুই-মেহাপিক্সেল
| দুই-মেগাপিক্সেল…| এশিয়াটিক সোসাইটি |
Posted 02/01/2010
on:শীর্ষ ছবি:
উপরের ছবিতে যে পুরাতন জীর্ণ স্থাপনাটি দেখা যাচ্ছে, ধারণা করা হয় তার নির্মাণকাল ১৭৬০ থেকে ১৭৭০ সালের মধ্যে কোন এক সময়। অথবা তারও পূর্বে। এটি সে আমলের একটি বাড়ির দেউড়ি বা গেট। তথ্যটি জানা গেলো প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.শাহনাওয়াজ-এর বক্তব্য থেকে। তৎকালীন বাঙলা প্রদেশের রাজধানী ঢাকার সোনারগাও থেকে মুর্শিদাবাদে যখনো স্থানান্তর হয়নি, ঢাকার প্রধান প্রশাসক যাঁকে বলা হতো ‘নায়েবে নাজিম’, তাঁর জন্য ঢাকার নিমতলীতে যে বাড়িটি নির্মাণ করা হয় সেটাই এই বাড়ি। কালের গহ্বরে হারিয়ে এখন আর নেই। রয়ে গেছে এই দেউড়িটাই। Read the rest of this entry »
উপরের ছবিতে যে পুরাতন জীর্ণ স্থাপনাটি দেখা যাচ্ছে, ধারণা করা হয় তার নির্মাণকাল ১৭৬০ থেকে ১৭৭০ সালের মধ্যে কোন এক সময়। অথবা তারও পূর্বে। এটি সে আমলের একটি বাড়ির দেউড়ি বা গেট। তথ্যটি জানা গেলো প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.শাহনাওয়াজ-এর বক্তব্য থেকে। তৎকালীন বাঙলা প্রদেশের রাজধানী ঢাকার সোনারগাও থেকে মুর্শিদাবাদে যখনো স্থানান্তর হয়নি, ঢাকার প্রধান প্রশাসক যাঁকে বলা হতো ‘নায়েবে নাজিম’, তাঁর জন্য ঢাকার নিমতলীতে যে বাড়িটি নির্মাণ করা হয় সেটাই এই বাড়ি। কালের গহ্বরে হারিয়ে এখন আর নেই। রয়ে গেছে এই দেউড়িটাই। Read the rest of this entry »
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ