Posts Tagged ‘প্রযুক্তি’
| উবুন্টু ১১.১০ রিলিজ পার্টি |
Posted 22/10/2011
on:| উবুন্টু ১১.১০ রিলিজ পার্টি… |
-রণদীপম বসু
…
এই কম্পুকানা আমাকে কেউ যদি প্রশ্ন করেন- উবুন্টু কী ? সোজা একটি লিংক ধরিয়ে দেবো মাতৃভাষা বাংলায় যেখানে খুব সুন্দর করে উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করে বলে দেয়া হয়েছে। শুধু ওইটুকু পড়লেই আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন কেন আমি উবুন্টু তথা লিনাক্স ইউজারদের সম্মান করি।
মানুষ যতক্ষণ নিজেকে মুক্ত ভাবতে পারে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আসলে তার মানুষ পরিচয়টা পূর্ণাঙ্গ হয় না বলে আমি বিশ্বাস করি। তাই একটা অসীম সম্ভাবনাময় মুক্ত সত্তা হয়ে মানুষের জন্ম হলেও জন্মের পরপরই সে বন্দী হয়ে যায় ইতঃপূর্বে জন্ম নেয়া অন্য কিছু মুনাফা ও ক্ষমতালোভী মানুষেরই জন্য। আবার কিছু সংখ্যক মানুষ থাকেন যাঁরা এই বন্দীত্বকে মুক্ত করতে নিজেকে নিয়োজিত করেন নৈতিক ও মানবিক বোধে তাড়িত হয়ে। এটাই মানবসমাজের এযাবৎ ইতিহাস। অতিমুনাফার সর্বগ্রাসী লোভ বড় শক্ত জিনিস, এ থেকে মুক্ত হওয়ার নৈতিক শক্তি অর্জন করতে দরকার সেই মানবিক বোধ যা দিয়ে মানুষকে মুক্ত স্বাধীন ও সৃজনুন্মোখ মানুষ হিসেবে স্বীকার ও স্বীকৃতি দেয়ার বিবেচক অবস্থান সৃষ্টি করা। যেকোন অবস্থার জন্যেই তা সত্য, এবং এই তথ্য-প্রযুক্তির যুগে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তো তা আরো বেশি প্রযোজ্য হওয়া উচিত ! বিশ্বমানব আজ যে ভয়ঙ্কর তথ্যবন্দীত্বের অনৈতিক শৃঙ্খেল আবদ্ধ হয়ে গেছে, স্বাধীন সত্তা হিসেবে মানুষের মুক্ত হওয়া জরুরি আজ। কেননা মানুষ আর রোবট এক নয় ! মানুষের সৃজনশীল উত্থানকে রুদ্ধ আর ধ্বংস করে চাপিয়ে দেয়া দাসত্ব শেষপর্যন্ত মানুষকে অন্যের ক্রীড়নক বানিয়ে দেয়। ধ্বসে পড়ে নীতিবোধ, মানবিক উন্মেষ আর সৃষ্টি হতে থাকে দাসানুরূপ মানব-রোবট প্রজন্মের। মানুষকে এই রোবট বানানোর প্রযুক্তি-সন্ত্রাসের প্রতিরোধে তাই মানুষকেই এগিয়ে আসতে হয় তাঁর সৃজনশীল প্রযুক্তির মুক্ত সত্তা নিয়ে। ওপেন সোর্স, মুক্ত সফটঅয়্যার কিংবা লিনাক্স ওস এরকমই একেকটা মুক্ত-মানবিক আন্দোলন, যাদের মধ্যকার আন্তসম্পর্ক নিবিড় ও মানবিক। ফলে ব্যক্তি হিসেবে হতে পারি আমি কম্পুকানা, কিন্তু মানুষ তো ! মানবিক বোধের শেষ বিন্দুটুকু থাকতেও আমরা কি চুপ করে থাকতে পারি ! মানুষ হিসেবে আমার ও আমার উত্তর প্রজন্মের অধিকারবোধটুকু প্রতিষ্ঠায় যাঁরা নিজেদের নিয়োজিত করে, তাঁদেরকে সমর্থন ও সহযোগিতা করাও আমার নৈতিক দায়িত্বের অংশ। তাই কোথাও একটু পাতা নড়লেই কোন ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করতে না পারলেও আমার সমর্থনটুকু জানাতে দ্বিধা করবো কেন ! এই পোস্টও এরই বহিঃপ্রকাশ।
জানতে পারলাম সর্বশেষ ডিস্ট্রো উবুন্টু ১১.১০ এর একটি রিলিজ পার্টি হতে যাচ্ছে ২৮ অক্টোবর ২০১১ শুক্রবার বিকেল ৩.৩০ টায় ঢাকার শাহবাগ এলাকায় ছবির হাটে। আপনারা জানেন কি ? আয়োজনটা করছে উবুন্টু বাংলাদেশ লোকো টিম। Read the rest of this entry »
| আমি তো মিন্টু হইলাম, কিন্তু…!
Posted 26/07/2010
on:- In: লিনাক্স
- 31 Comments
| আমি তো মিন্টু হইলাম, কিন্তু…!
–রণদীপম বসু
…
(০১)
‘আপনি রণদীপম দাদা না !‘
প্লাস্টিকের ওয়ান–টাইম পেয়ালায় চায়ে চুমুক দিতে দিতে দারুণ জলি–টাইপ হাস্যোজ্জ্বল প্রশ্নকারী দোহারা গড়নের যুবকটির দিকে তাকালাম। আমার সম্মতিসূচক জবাব ও প্রশ্নময় চাউনিতে তিনি বলে যাচ্ছেন– ‘আপনি উইকিমিডিয়ায় প্রচুর ছবি দিয়েছেন দাদা, ব্লগে আপনার ছবিও দেখেছি তো..!‘
এবার মনে হয় চিনতে পেরেছি তাঁকে। বাংলা উইকিতে বেলায়েত ভাই‘র হালকা নিক ছবির সাথে অনেক মিল চেহারায়, তিনিই হবেন। ‘আপনি বেলায়েত ভাই ?‘
‘না–না, আমি বেলায়েত না। বেলায়েত যখন আপনার ছবিগুলোর কাজ করছিলো, আমি দেখেছি তখন। আমার নাম মাহে আলম খান। সংক্ষেপে সবাই ম্যাক বলে চিনে।‘ বলেই তিনি যে ভুবন–ভুলানো হাসিটা দিলেন, তাতেই বুঝে গেলাম, এ লোকের পৃথিবীতে কোন শত্রু থাকতে পারে না। বর্তমানে অনলাইন জগতে বাংলাকে ব্যবহার–বান্ধব করে তুলতে অঙ্কুর–আইসিটি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সাথে উজার হয়ে কাজ করছেন জানা গেলো। Read the rest of this entry »
| জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদন !
Posted 17/08/2009
on:জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদন !
– রণদীপম বসু
.
জ্বালানি ছাড়া কি বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব ? চমকে যাবার মতো কথাই বটে ! আপাত অসম্ভব এই কাজটাই সবাইকে বিস্মিত করে দেখিয়ে দিলেন ঝিনাইদহের যুবক গিয়াস উদ্দিন কচি। শনিবার (১৯ এপ্রিল ২০০৮) দুপুরে চট্টগ্রাম চেম্বার মিলনায়তনে চেম্বার কর্তৃপক্ষ প্রযুক্তিটি দেখাতে প্রদর্শনীর আয়োজন করে। নিউজ, প্রথম আলো রোববার, ২০ এপ্রিল ২০০৮।
প্রদর্শনীতে এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প হাতেনাতে দেখানো হয়। প্রাথমিকভাবে ডায়নামো চালুর জন্য পিডিবি’র বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় এক মিনিট। ডায়নামো চালু হওয়ার পর বিদ্যুতের সংযোগ খুলে ফেলা হয়। অবশ্য যেখানে বিদ্যুৎ থাকবে না সেখানে হাতে ঘুরিয়ে ডায়নামো চালু করা যাবে বলে জানানো হয়। এক হাজার ওয়াট বা এক কিলোওয়াট শক্তির ডায়নামোটি টানা দশ মিনিট চালিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে একটি ড্রিল মেশিন, একটি টেবিল ফ্যান ও চারটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি জ্বালানো হয়। এতে খরচ হয় ৮০০ ওয়াট। বাকি ২০০ ওয়াট বিদ্যুৎ ডায়নামোয় নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়।
পরীক্ষামূলক এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে ৫০-৫৫ হাজার টাকা। ঝিনাইদহের যুবক গিয়াস উদ্দিন কচি ১৮ বছর ধরে মোটর ও ডায়নামো দিয়ে অনুশীলন করে প্রযুক্তিটি উদ্ভাবনে সফল হন। প্রযুক্তিটির সাফল্য দেখে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম, পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) শহীদ উদ্দিন আহমেদ, জিইসি বাংলাদেশের পরিচালক (উৎপাদন) প্রকৌশলী এ বি এম এ বাসেত, ডয়েস পাওয়ার সিস্টেমের সার্ভিস ম্যানেজার প্রকৌশলী সৌমেন চক্রবর্তী প্রমুখ। প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, এই প্রকল্প দেখে মনে হচ্ছে বিদ্যুতের তত্ত্ব (ইলেকট্রিক্যাল থিওরি) বদলে যাচ্ছে। সফল হলে এটি হবে অবশ্যই যুগান্তকারী ঘটনা। জিইসির প্রকৌশলী এ বি এম এ বাসেত বলেন, ‘প্রকৌশলী হিসেবে আমি বলবো, এটা অসম্ভব। কিন্তু চোখের সামনে যা দেখছি তা আসলে বিস্ময়কর ! উদ্ভাবককে তার কৌশল গোপন রাখা উচিৎ।’
প্রযুক্তিটির উদ্ভাবক জানান, এক কিলোওয়াট শক্তির ডায়নামোটি তৈরিতে বিশেষ ট্রান্সফরমার, সার্কিট, ডায়নামো ও মোটরযন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ কিলোওয়াট শক্তির একটি প্রকল্পেও তিনি সফল হয়েছেন। তাঁর এই উদ্ভাবনের সূত্র হলো ‘সমন্বিত চক্রাকার ব্যবস্থায় শক্তি কখনোই নিঃশেষ হয় না।’
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীরা নিশ্চয়ই নতুন করে ভাববেন। যদি জ্বালানী ছাড়াই বিদ্যুৎ উদ্ভাবনের এই বিস্ময়কর প্রযুক্তি সত্যিই সফল হয়, তাহলে বিজ্ঞানের ধারণায় যে এক অসম্ভব বিপ্লব ঘটে যাবে তা ভাবতেও রোমাঞ্চিত হতে হয়। বিশ্ব যেখানে আগামী দিনের সভ্যতায় বিদ্যুতের অনিবার্য আবশ্যকতা পূরণের জ্বালানির খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে, সেখানে এরকম একটা উদ্ভাবন অকল্পনীয় আশার সঞ্চার করে বৈ কি !
উন্নত বিশ্বের কোন জগৎখ্যাত গবেষণাগারের কোন বাঘা বিজ্ঞানী নয়, আমাদের দুর্ভাগা হতদরিদ্র এই সহায়-সম্বলহীন হতদরিদ্র দেশটির বুকে অনাদরে পড়ে থাকা মফস্বলের সুবিধাবঞ্চিত এক অতি সাধারণ যুবকের খেয়ালি সৃষ্টিতে পৃথিবীর ঘূর্ণায়মান চাকাটা এক নতুন গতিতে প্রাণবন্ত হবে !
এটা কি আদৌ সম্ভব !?
.
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ