Archive for নভেম্বর 2nd, 2019
শিব ও লিঙ্গ-৯/৯ : নাথ সম্প্রদায়
Posted 02/11/2019
on:শিব ও লিঙ্গ-৯/৯ : নাথ সম্প্রদায়
রণদীপম বসু
…
নাথধর্ম যোগসাধনা নির্ভর একটি ধর্ম– কায়সাধনা যার অন্যতম উপায়। নাথপন্থীরা আদৌ শৈব-সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত কিনা এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। তবু শৈব-সম্প্রদায়ের বর্তমান আলোচনায় তাঁদের অন্তর্ভুক্তির কারণ হলো, নাথপন্থীদের বিশ্বাস অনুযায়ী শিব এঁদের আদিগুরু বা আদিনাথ। অধ্যাপক বারিদবরণ ঘোষের মতে,–
‘নাথধর্ম সনাতন ভারতীয় ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন কোনও ধর্ম নয়– যদিও আচার-আচরণে প্রচলিত ‘হিন্দুধর্ম’ থেকে এদের বৈশিষ্ট্যও চোখে পড়ার মতো। আর এই আচার-আচরণই নাথধর্মের উৎসে শিবদেবতার উপস্থিতিকে অনিবার্য করে তুলেছে। এই ‘নাথ’ শব্দটির বিশিষ্ট প্রয়োগই এই ধর্মের আচার-পদ্ধতিকে নিয়ন্ত্রিত করেছে। সমগ্র মানবসমাজ কতকগুলি ইন্দ্রিয়ের কর্মপদ্ধতি দ্বারা পরিচালিত। এই সমস্ত ইন্দ্রিয়ের (পঞ্চেন্দ্রিয় দু প্রকারের– এক জ্ঞানেন্দ্রিয়, দুই কর্মেন্দ্রিয়। চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, ত্বক– এগুলি জ্ঞানেন্দ্রিয় এবং বাক্, পাণি, পাদ, পায়ু এবং উপস্থ– এগুলি কর্মেন্দ্রিয়) উপর নাথ (প্রভুত্ব) হওয়াই এই ধর্মের মূল কথা। এই নাথ হতে গেলে প্রথমে সিদ্ধতনু, পরে দিব্যতনু বা প্রণবতনু লাভ করতে হয়। প্রণবতনু লাভ করলে তবেই প্রকৃত নাথ হতে পারা যায়। এই তত্ত্ব শিবজাত তত্ত্ব। নাথযোগীদের আদিগুরু স্বয়ং মহাদেব।’– (নাথ সম্প্রদায়ের ইতিহাস, পৃষ্ঠা-১১) Read the rest of this entry »
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ